সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুর্ঘটনায় নিহত অসমের উগ্রপন্থী সংগঠন উলফার সুপ্রিম কমান্ডার পরেশ বড়ুয়া। চিন-মায়ানমার সীমান্তে ঘটা দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ওই জঙ্গি নেতার।
অসমের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, কয়েকদিন আগেই চিন-মায়ানমার সীমান্তে ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হন আলোচনা বিরোধী উলফা শিবিরের নেতা পরেশ বড়ুয়া। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত্যু হয় তার। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, অনেকদিন ধরেই চিনে ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে ওই জঙ্গিনেতা। মায়ানমারের গভীর জঙ্গলে শক্তিবৃদ্ধি করছে সংগঠনটি। দলীয় গতিবিধি তদারকি করতে ঘটনার দিন রুইলি রওনা দেয় বড়ুয়ার কনভয়। মাঝ পথেই দুর্ঘটনার মুখে পড়ে পরেশ বড়ুয়ার গাড়ি। ওই নেতার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে বেল জানিয়েছেন অসম পুলিশের একা শীর্ষ আধিকারিক।
উল্লেখ্য, মাসের শুরুতেই অসমের তিনসুকিয়ায় পাঁচ বাঙালি যুবককে হত্যার ঘটনায় উলফার (স্বাধীন) হাত রয়েছে বলেই দাবি তদন্তকারীদের। বরাত জোরে বেঁচে গিয়েছেন সহদেব নমঃশূদ্র। যেখানে ওই পাঁচ যুবককে বৃহস্পতিবার হত্যা করা হয়েছিল সেই ব্রহ্মপুত্র নদের চরে দাঁড়িয়ে শুক্রবার একটি সর্বভারতীয় টিভি চ্যানেলের ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে ঘটনার বর্ণনা দিচ্ছিলেন তিনি। সহদেবের চাঞ্চল্যকর দাবি, যতই অস্বীকার করুক এই ঘটনায় উলফা জঙ্গিরাই জড়িত। কারণ হামলাকারীরা জলপাই রঙের সেনা পোশাক পরে এসেছিল। উলফা ছাড়া অসমে কোনও দুষ্কৃতী বা সংগঠন সেনা পোশাক ব্যবহার করে না। ওরা সবাই অসমীয়া ভাষায় কথা বলছিল। ওদের কথাবার্তা, শরীরী ভাষা এবং সঙ্গে থাকা অস্ত্রই বলে দিচ্ছিল ওরা উলফার লোক।
এদিকে কেন্দ্রের সঙ্গে শান্তি আলোচনা ভেস্তে দিতে চক্রান্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ উলফার আলোচনা-পন্থী নেতা অনুপ চেতিয়া। তিনসুকিয়ায় সাম্প্রতিক গণহত্যার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, কায়েমি স্বার্থের জন্যই এই ঘটনায় সংগঠনের আলোচনা-পন্থীদের দায়ী করা হচ্ছে। আলোচনা যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে, তখন সেই শান্তি প্রক্রিয়াকে বিপথে চালনার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি, নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল নিয়েও কেন্দ্রকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চেতিয়া। তাঁর দাবি, ওই বিল নিয়ে কেন্দ্র সরকার এগোতে থাকলে অসমে আগুন জ্বলবে। আর তখন আলোচনা-বিরোধী গোষ্ঠী উলফা (স্বাধীন)-এর বাড়বাড়ন্ত হবে।
[ছত্তিশগড়ে ৬২ মাওবাদীর আত্মসমর্পণ, সরলেন শীর্ষ নেতা গণপতি]
The post নিহত উলফার সুপ্রিম কমান্ডার পরেশ বড়ুয়া! appeared first on Sangbad Pratidin.