সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই ঘটা করে ‘মহাপ্রয়াণ’ প্রকল্প চালু করেছিল ওড়িশা সরকার৷ যাতে রাজ্যের ৩৭টি হাসপাতালকে শববাহী যান দেওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু এর পরেও দিন আনি দিন খাওয়া মানুষগুলির বিশেষ কোনও উপকার হল না৷ গতকালই ওড়িশার দানা মাঝি তাঁর স্ত্রী’র মৃতদেহে কাঁধে নিয়েই ১০ কিলোমিটার হেঁটে গিয়েছিলেন৷ স্ত্রী’র সৎকারের জন্য কোনও শববাহী গাড়ি দিতে পারেনি সরকারি হাসপাতাল৷ তাই স্ত্রী’র অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়া সম্পন্ন করতে মৃত স্ত্রী’কে কাঁধে নিয়েই রওনা দেন দানা মাঝি৷
এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি৷ আবারও প্রায় একইরকম মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী রইল দেশ৷ এবার হাসপাতালে শববাহী গাড়ি না মেলায়, বৃদ্ধার হাড় ভেঙে, মুড়িয়ে বস্তাবন্দী করে বাঁশে বেঁধে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখা গেল ওড়িশায়৷ ৭৬ বছরের সালামনি বারিক বুধবার ট্রেন দূর্ঘটনায় মারা যান৷ ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর দেহ স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ এরপর সেখান থেকে সৎকারের জন্য নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হলে যথারীতি পাওয়া যায়নি শববাহী কোনও ভ্যান বা গাড়ি৷ আর তাই দুই কর্মীকে বৃদ্ধার দেহ শশ্মানঘাটে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হলে, তাঁরা বৃদ্ধার ভেঙে যাওয়া দেহ মুড়িয়ে একটি সাদা চাদরে বেঁধে বাঁশে ঝুলিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে৷ প্রশ্ন করা হলে জানানো হয়, এছাড়া তাঁদের কাছে আর কোনও উপায় নেই৷
বৃদ্ধার ছেলের চোখের সামনে ঘটে এই মর্মান্তিক ঘটনা৷ ছেলে রবীন্দ্র বারিক জানিয়েছেন, মা’র দেহ চোখের সামনে অমন পণ্যের মতো করে বয়ে নিয়ে যাওয়া হল৷ বহুবার আর্জি জানানোর পরেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শববাহী গাড়ির ব্যবস্থা করে দিল না৷
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় আবারও বিতর্কের ঝড় বয়ে গিয়েছে ওড়িশায়৷ মানবাধিকার কমিশনের তরফ থেকে এই ঘটনার নিন্দা করা হয়েছে এবং এমন ঘটনা ঘটার কারণ জানতে চেয়ে রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়েছে৷
The post গাড়ি নেই, হাড় ভেঙে বাঁশে ঝুলিয়ে নিয়ে যাওয়া হল মৃতদেহ appeared first on Sangbad Pratidin.