সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অসুস্থ মায়ের জন্য বারবার খবর দেওয়া হয়েছিল অ্যাম্বুল্যান্সে। কিন্তু দীর্ঘ অপেক্ষার পরও অ্যাম্বুল্যান্স না আসায় শেষ পর্যন্ত মা’কে নিয়ে ঠেলাগাড়িতেই হাসপাতালে পৌঁছলেন যুবক। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) জালালাবাদে ঘটেছে এমনই মর্মান্তিক ঘটনা।
জানা গিয়েছে, ৪৫ বছরের দীনেশের মা বীণা দেবীর বয়স ৬৫ বছর। আচমকাই ব্যথা শুরু হয় তাঁর। দীনেশের বাবা তখনই অ্যাম্বুল্যান্সে ফোন করেন। শুরু হয় প্রতীক্ষা। কিন্তু কোনও অ্যাম্বুল্যান্সই শেষ পর্যন্ত আসেনি। অগত্যা একটি ঠেলাগাড়িতেই মা’কে নিয়ে তিনি রওনা দেন স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উদ্দেশে। এইভাবে চার কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে যখন সেখানে পৌঁছন তিনি, ততক্ষণে আর জীবিত নেই বীণা দেবী। চিকিৎসকরা তাঁকে পরীক্ষা করার পরই সেকথা জানিয়ে দেন।
[আরও পড়ুন: অনুব্রত মণ্ডল ও আত্মীয়দের অ্যাকাউন্টে টাকার পাহাড়, বাজেয়াপ্ত করল CBI]
সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের সঙ্গে কথা বলার ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পুলিশ সুপারিটেন্ডেন্ট ড. অমিত যাদব জানিয়েছেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি ওই মহিলার কাছে পৌঁছে তাঁকে পরীক্ষা করেন। স্বাভাবিক ভাবেই বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে কেন অ্যাম্বুল্যান্স আসেনি তা নিয়ে। প্রশ্ন উঠেছে যোগীরাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে। শাহজাহানপুরের চিফ মেডিক্যাল অফিসার পি কে ভার্মা এই প্রসঙ্গে সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের সঙ্গে কথা বলার সময় জানান, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে শুনলেও এখনও বিশদে কিছুই জানেন না। তবে খবর পাওয়ার ৩০ মিনিটের মধ্যেই যে অ্যাম্বুল্যান্সের পৌঁছে যাওয়ার কথা, সেকথা স্বীকার করে নেন তিনি। দূরত্ব কম হলে সময় আরও কম লাগা উচিত ছিল বলেই মত তাঁর।
প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশে এমন ঘটনা বিরল নয়। প্রায়ই দেখা যায়, অ্যাম্বুল্যান্সের অভাবে রোগীর বাড়ির লোক ঠেলাগাড়িতে অন্য কোনও উপায়ে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন। সমালোচনার পরেও কেন বারবার এমন ঘটনা ঘটছে সেই প্রশ্ন তুলছে ওয়াকিবহাল মহল।