অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: হাওড়ায় উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দার রহস্যমৃত্যু। লন্ড্রির ভিতরের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার মালিকের পচাগলা দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হাওড়ার ডোমজুড়ের গয়েশপুর এলাকায়। খবর পেয়েই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে অনুমান, ব্য়বসায়িক সঙ্গীর হাতেই খুন হয়েছেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু কেন? তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে পলাতক মৃতের ওই ব্য়বসায়িক সঙ্গী। তার খোঁজ চলছে।
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম লক্ষ্মণ সাউ। বয়স ৫০ বছর। আদতে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা তিনি। হাওড়ার ডোমজুড়ে একটি লন্ড্রি চালাতেন তিনি। সেখানেই থাকতেন। মাস ছয়েক আগে বিপিন নামে উত্তরপ্রদেশেরই এক যুবক সেখানে আসে। সূত্রের খবর, ওই যুবক লক্ষ্মণের ব্যবসায়িক সঙ্গী ছিলেন। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, শনিবার শেষবার লক্ষ্মণকে দেখেন তাঁরা। এরপর লক্ষ্মণ ও বিপিন, কারও দেখা মেলেনি। তাতেই তাঁদের মনে সন্দেহ দানা বাঁধে। এরপর মঙ্গলবার রাতে দুর্গন্ধ পান এলাকার বাসিন্দারা। খবর দেওয়া হয় ডোমজুড় থানায়।
বুধবার গয়েশপুরে সেপটিক ট্যাঙ্কে মেলে লক্ষ্মণের পচাগলা দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল শোরগোল হয় এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশের অনুমান, বিপিনই খুন করেছে লক্ষ্মণকে। তারপর প্রমাণ লোপাটে দেহ সেপটিক ট্য়াঙ্কে ফেলে উধাও হয়ে গিয়েছে। মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, বিপিনের সঙ্গে লক্ষ্মণের সমস্যা চলছিল। কিন্তু কী নিয়ে, তা এখনও জানা যায়নি। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। বিপিনের হদিশ পেলেই রহস্যের কিনারা হবে বলে আশাবাদী পুলিশ।
