shono
Advertisement

রুষ্ট হয়েছিলেন দেবী, বন্ধ হয়েও ফের শুরু হয় হাসনাবাদের খাঁড়া পরিবারের পুজো

ধুমধাম করে চলছে পুজোর প্রস্তুতি। The post রুষ্ট হয়েছিলেন দেবী, বন্ধ হয়েও ফের শুরু হয় হাসনাবাদের খাঁড়া পরিবারের পুজো appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 05:08 PM Sep 29, 2019Updated: 06:41 PM Sep 29, 2019

পুজো প্রায় এসেই গেল৷ পাড়ায় পাড়ায় পুজোর বাদ্যি বেজে গিয়েছে৷ সনাতন জৌলুস না হারিয়েও স্বমহিমায় রয়ে গিয়েছে বাড়ির পুজোর ঐতিহ্য৷ এমনই কিছু বাছাই করা প্রাচীন বাড়ির পুজোর সুলুকসন্ধান নিয়ে হাজিরsangbadpratidin.in৷ আজ রইল হাসনাবাদের খাঁড়াবাড়ির দুর্গাপুজোর কথা।

Advertisement

নবেন্দু ঘোষ, বসিরহাট: ভক্তের ডাকে সাড়া দিয়ে যেমন ডুবে যাওয়া নৌকো উদ্ধারে সাহায্য করেছিলেন দেবী। নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে ফিরেছিলেন বাড়ির মেজ ছেলে। ঠিক তেমনই দুই ভাইয়ের গন্ডগোলে পুজো বন্ধ হওয়ার পর মুখ ফিরিয়েছিলেন দেবী। অকালমৃত্যু হয়েছিল বাড়ির বড় জামাইয়ের। এমনই জাগ্রত দেবী। এমনটাই দাবি হাসনাবাদের খাঁড়া পরিবারের। সময়ের নিয়মে স্বাভাবিক হয়েছে পরিস্থিতি। ফের শুরু হয়েছে পুজো। প্রতিবারের মতো এবারও ধুমধাম করে দেবী আরাধনায় মেতেছে খাঁড়া পরিবার।

[আরও পড়ুন: সিলমোহর দলের, সল্টলেকের বি জে ব্লকের পুজোর উদ্বোধন করবেন অমিত শাহ]

বছর ৭৩ আগের কথা। হাসনাবাদের হরিকাটি গ্রামের বাসিন্দারা এলাকায় দুর্গাপুজো করার কথা ভাবেন। কারণ, সেই সময়ে হরিকাটি গ্রামের ১০-১২ কিলোমিটারের মধ্যে কোন পুজো হতো না। তাই পুজোর আনন্দ উপভোগ করতে টাকির জমিদার বাড়িগুলিতে যাওয়া ছাড়া কোন উপায় ছিল না তাঁদের কাছে। গ্রামবাসীদের কথা ভেবে হরিকাটি গ্রামের বনেদি খাঁড়া পরিবারের অনুকুল চন্দ্র খাঁড়া এগিয়ে আসেন। গ্রামের আর পাঁচজনকে সঙ্গে নিয়ে মাটির আট চালা ঘর করে সেখানেই দেবীর আহ্বানের কথা ভাবেন। কিন্তু দেবী খাঁড়া পরিবারের জমির একাংশে থাকা বটগাছের তলায় তার মূর্তির পুজোর আয়োজনের জন্য অনুকুলবাবুর স্ত্রী লক্ষীবালা খাঁড়াকে স্বপ্নাদেশ দেন। নির্দেশ মতো বটগাছের নিচে মাটির ঘরে শুরু হয় দুর্গাপুজো। পরে অনুকুলবাবুর বড় ছেলে শ্যামসুন্দরবাবু ভাইবোনদের সহযোগিতায় পুজোর জন্য গড়ে তোলেন পাকা দালান।

পরিবারের সদস্যদের কথায়, তাঁদের দেবী জাগ্রত। বহুবছর আগে শতাধিক বস্তা ধান নিয়ে যাওয়ার সময় রায়মঙ্গলে নৌকাডুবি হয়েছিল। খাঁড়া পরিবারের দাবি, গৃহকর্ত্রীর ডাক শুনে দেবী রক্ষা করেছিলেন পরিবারের মেজো ছেলেকে। উদ্ধার হয়েছিল ধানের বস্তাও। কিন্তু এর কয়েকবছর পর পরিবারের দুই ছেলের কলহে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল পুজো। তাতে রুষ্ট হয়েছিলেন দেবী। এরপরই ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় বাড়ির বড় জামাইয়ের। এরপর ফের শুরু হয় পুজো। সেই বিশ্বাসেই আজও প্রাচীন রীতি মেনেই দেবী পূজিত হন খাঁড়া বাড়িতে। 

[আরও পড়ুন: এক টুকরো রাজস্থান উঠে এল মুম্বইয়ের পুজো মণ্ডপে]

The post রুষ্ট হয়েছিলেন দেবী, বন্ধ হয়েও ফের শুরু হয় হাসনাবাদের খাঁড়া পরিবারের পুজো appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup মহানগর toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার