অর্ণব দাস, বারাসত: আন্তর্জাতিক মঞ্চে পুরষ্কৃত হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প কন্যাশ্রী। প্রশংসিত হয়েছে সবুজ সাথী, স্বাস্থ্যসাথীও। এবার আন্তর্জাতিকস্তরে প্রশংসা পেল রাজ্যের দুয়ারে সরকার প্রকল্প। সেখানে যে ২১টি পরিষেবা দেওয়া হয়। প্রত্যেকটি পরিষেবাই সন্তোষজনক, মত ইউনিসেফ প্রতিনিধির।
মঙ্গলবার বারাসত দু’নম্বর ব্লকের শাসন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দুয়ারে সরকার প্রকল্প পরিদর্শন করলেন ইউনিসেফের মুখ্য আধিকারিক হু হে বান। ইউনিসেফ (UNICEF) বিশ্বজুড়ে শিশুদের পাশাপাশি স্বাস্থ্য, শিক্ষা, শিশুদের বিকাশ ইত্যাদি নিয়ে কাজ করে চলেছে। তাই এবারে ইউনিসেফ নজরে রাজ্যে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি। ভারতীয় আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে হু হে বান শাসন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দুয়ারে সরকার পরিদর্শন করলেন।
[আরও পড়ুন: ডিএলএডের প্রশ্নপত্র ফাঁস হল কীভাবে? তদন্ত করবে CID, নির্দেশ নবান্নর]
দুয়ারে সরকারে এসে অঙ্গনওয়াড়ি, আশাকর্মীদের সঙ্গে তাঁদের দায়িত্বকর্তব্য সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলেন। স্বাস্থ্যপরিষেবায় একজন অন্তঃসত্ত্বা মা ও শিশুদের কীভাবে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে, সেই সংক্রান্ত বিষয় খতিয়ে দেখেন। রাজ্য সরকারের ২১টি প্রকল্পের বাংলার মানুষ যেভাবে সুবিধা পাচ্ছে তা দেখে অত্যন্ত খুশি হন ইউনিসেফের মুখ্য আধিকারিক। উপস্থিত ছিলেন বারাসত দু’নম্বর ব্লক বিডিও অর্ঘ্য মুখোপাধ্যায়-সহ একাধিক প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ইউনিসেফের প্রতিনিধি হু হে বান বলেন, “ইউনিসেফ মূলত শিশুদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা পরিকাঠামো নিয়ে কাজ করে থাকে। তাই শিশুদের স্বাস্থ্য শিক্ষার উপরে যেমন জোর দিতে হবে, ঠিক তেমনি স্বাস্থ্যকর্মী, আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের সজাগ থাকতে হবে।” শাসনে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি দেখে তিনি মুগ্ধ হন এবং একাধিক প্রকল্পের স্টলে গিয়ে কর্মীদের সঙ্গে ছবি তোলেন। এপ্রসঙ্গে বিডিও অর্ঘ্য মুখোপাধ্যায় বলেন, “সাধারণত ইউনিসেফ থেকে আধিকারিকরা এসে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একাধিক কর্মসূচি মানুষ কীভাবে গ্রহণ করছে, তারা কতটা আনন্দিত এবং কীভাবে পরিষেবা পাচ্ছে সেই সংক্রান্ত বিষয় খতিয়ে দেখেন। সরকারের স্বাস্থ্যসাথী থেকে শুরু করে দুয়ারে সরকারে যে ২১টি প্রকল্পের যে পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে তা দেখে তিনি মুগ্ধ।”