সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রত্যাশিতভাবেই করোনা পরবর্তী প্রথম বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে খরচ ব্যাপক হারে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman)। গত অর্থবর্ষের তুলনায় এবছর দেশের স্বাস্থ্যখাতে খরচ বাড়ল প্রায় ১৩৭ শতাংশ। আগে যেখানে স্বাস্থ্যখাতে খরচ ছিল মাত্র ৯৪ হাজার কোটি টাকা। সেখানে ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ভারতের স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ বেড়ে হল ২ লক্ষ ২৪ হাজার কোটি টাকা।
বাজেট বক্তৃতার শুরুতেই নির্মলা ঘোষণা করেন এবারের বাজেট ৬ টি মূল স্তম্ভের উপর ভিত্তি করে করা হয়েছে। এর প্রথম স্তম্ভই হল স্বাস্থ্য। কোনও নতুন সংক্রামক রোগ যাতে না ছড়ায়, আর ছড়ালেও তা যাতে বিপজ্জনক না হয়, তা নিশ্চিত করতে চায় সরকার। আর সেজন্য বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করা হচ্ছে। নতুন যে সব রোগের আশঙ্কা আছে, তা থেকে বাঁচতে প্রাথমিক স্বাস্থ্যখাতে আগামী ৬ বছরে ৬৪ হাজার ১৮৯ কোটি টাকা খরচ করা হবে। দেশের সব জেলায় তৈরি হবে স্বাস্থ্য ল্যাব। ৬০২ জেলায় সব ব্লকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার হাসপাতাল তৈরি করবে সরকার। ১৭টি নতুন পাবলিক হেলথ ইউনিট সক্রিয় হবে গোটা দেশে। ১৫টি হেলথ এমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার খোলা হবে। খোলা হবে ৭ টি বায়ো সেফটি ল্যাব। আগামী দিনে দেশের গ্রামাঞ্চলের অনাক্রম্যতা বাড়াতে সূচনা হবে পুষ্টি অভিযানের। ৫০০টি শহরে লিকুউড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টে ৮৭ হাজার কোটি ।
[আরও পড়ুন: করোনাকালের বাজেটেও নির্মলার মন্ত্র সেই ‘আত্মনির্ভর’ ভারত]
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, চলতি বছরে করোনার টিকাকরণের বিপুল হারে বরাদ্দ করেছেন অর্থমন্ত্রী। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ জানিয়েছেন, এবছর করোনার টিকাকরণের জন্য ৩৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে। আমি আশ্বস্ত করছি, টিকাকরণের জন্য আরও টাকার দরকার পড়লে, তা সরকার দেবে। অর্থমন্ত্রীর এই ঘোষণা নিঃসন্দেহে দেশের সাধারণ জনতাকে আশ্বস্ত করবে। সেই সঙ্গে ভ্যাকসিনের খরচ নিয়ে বিরোধীরা যে প্রশ্ন করছিলেন, সেই প্রশ্নেরও জবাব দিয়ে দিলেন নির্মলা। অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, এর আগে মাত্র ৩ বার সংকোচনের সময় বাজেট পেশ হয়েছে। এবারের সংকোচন মহামারীর ফলে হয়েছে। ভারত সরকার এই বিপদ থেকে বেরতে যথাসম্ভব চেষ্টা করছে। আমাদের সরকার রাজ্যগুলিকে সাহায্য করার জন্য বদ্ধপরিকর।