রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: আগামী বছরেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে অন্তর্কলহে জর্জরিত বঙ্গ বিজেপি। দলীয় সংগঠনের কোন্দলে চিন্তিত গেরুয়া শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্ব। এই পরিস্থিতিতে বঙ্গে অমিত শাহ। বিজেপির রাজ্য দপ্তরে দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। কোন্দল রুখতে কী বার্তা দেন শাহ, সেদিকেই নজর সকলের।
শুক্রবার ঘড়ির কাঁটায় ৮টা ৪৫ মিনিট। দমদম বিমানবন্দরে পৌঁছন অমিত শাহ। বিমানবন্দরে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান শুভেন্দু অধিকারী ও সুকান্ত মজুমদার। সেখান থেকে মা উড়ালপুল হয়ে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ ধরে বিজেপির রাজ্য দপ্তরে পৌঁছন অমিত শাহ। তাঁকে স্বাগত জানাতে বিজেপি রাজ্য দপ্তরে এলাহি আয়োজন করা হয়। ঢাক, ঢোল বাজিয়ে অভ্যর্থনা জানান লকেট চট্টোপাধ্যায়। রাজ্য দপ্তরে বৈঠক করবেন অমিত শাহ। বঙ্গ বিজেপি নেতাদের কোন্দল রুখতে কী বার্তা দেন অমিত শাহ, তা নিয়ে রাজনৈতিক চর্চা তুঙ্গে।
[আরও পড়ুন: আচমকা আব্দুল মান্নানের বাড়িতে দিলীপ ঘোষ, সাক্ষাতের কারণ নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে]
বৈঠক শেষে বাইপাসের ধারে এক পাঁচতারা হোটেলে রাত্রিবাস করবেন শাহ। শনিবার সকালেই তিনি হোটেল থেকে বেরিয়ে যাবেন নবান্নে। সেখানে পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক। দিনভর বৈঠকেই ব্যস্ত থাকবে অমিত শাহ। মধ্যাহ্নভোজের পরেও চলবে আলোচনা।
সাধারণত পূর্বাঞ্চলের ৫ রাজ্য – পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, সিকিমে ঘুরিয়েফিরিয়ে হয় এই বৈঠক। যে রাজ্যে বৈঠক হয়, সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী থাকেন ভাইস চেয়ারম্যানের ভূমিকায়। সেদিক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকতে পারেন এই বৈঠকে।সূত্রের খবর, শনিবারই অমিত শাহ যেতে পারেন রাজারহাটের বিএসএফ (BSF) ক্যাম্পে। সেখানে সেনাবাহিনীর সঙ্গে কিছুক্ষণ সময় কাটাবেন তিনি। সেরে নিতে পারেন জরুরি আলোচনাও। এরপর শনিবার রাতেই তিনি উড়ে যাবেন দিল্লি।