সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক বা সেনাকর্মী। যোগ্যতা অর্জনে নির্দিষ্ট অ্যাকাডেমিক ডিগ্রি লাগে। অধিকাংশ পেশাতেই এই ব্যবস্থা। যদিও ভারতীয় গণতন্ত্রে মন্ত্রী হওয়ার কোনও যোগ্যতামান নেই। সেই কারণেই কী হাসির খোরাক হতে হল খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে? 'বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও' স্লোগানটুকু লিখতে গিয়ে রীতিমতো নাকানিচোবানি খেলেন কেন্দ্রের নারী ও শিশুকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী সাবিত্রী ঠাকুর(Savitri Thakur)। দেখা গেল, সহজ হিন্দি বানানটুকু জানেন না তিনি, এমনকী ভুল স্লোগান লিখলেন। ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতেই সমালোচনার ঝড় ওঠে।
মধ্যপ্রদেশের ব্রহ্মকুণ্ডির একটি স্কুলে মঙ্গলবার প্রধান অতিথি হয়ে গিয়েছিলেন স্থানীয় বিজেপি সাংসদ এবং কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী সাবিত্রী ঠাকুর। সেখানে 'স্কুল চলো অভিযান' কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানেই একটি সাদা বোর্ডে 'বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও' স্লোগান লিখতে গিয়ে বেকায়দায় পড়লেন সাবিত্রী। 'বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও'-এর বদলে মন্ত্রী লেখেন 'বেটি পড়াও বাঁচাও।' তাও আবার ভুল বানানে। কাণ্ড দেখে অস্বস্তিতে পড়ে যান অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলে। হাসির রোলও ওঠে।
[আরও পড়ুন: সাড়ে চার দশকের অপেক্ষার অবসান, রথের পরই খুলবে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভাণ্ডার!]
উল্লেখ্য, কন্যাভ্রূণ হত্যা রুখতে এবং মেয়েদের ক্ষমতায়নে 'বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও' প্রকল্প চালু করেছিল মোদি সরকার। অথচ খোদ কেন্দ্রের মন্ত্রীর পড়াশোনা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। প্রকল্পের বানান লিখতে গিয়ে তাঁকে হোঁচট খেতে দেখে কটাক্ষ করেছে কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলি। অবশ্য কেবল বিরোধীরাই নন, ভাইরাল ভিডিও দেখে মন্তব্য করছে আমজনতাও। এক নেটিজেন লিখেছেন, 'যাঁরা দেশের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্বে, তাঁরাই মাতৃভাষায় স্বচ্ছন্দ নন।' অনেকেই বলছেন, 'এবার থেকে ভোটে লড়ার ক্ষেত্রে ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা চালু করা উচিত।'
[আরও পড়ুন: নারকীয় দাবদাহে পুড়ছে ভারত, হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ৪০ হাজার, দিল্লিতে গরমে ১৯২ ভবঘুরের মৃত্যু!]
প্রসঙ্গত, সাবিত্রী ঠাকুর নির্বাচনে দাঁড়ানোর সময় কমিশনে জমা করা হলফনামায় নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা দ্বাদশ উত্তীর্ণ বলে জানিয়েছেন। এখনও প্রশ্ন উঠছে, কোনওরকমে বারো ক্লাস উত্তীর্ণ সাবিত্রীকে মন্ত্রীত্ব দেওয়া আদৌ উচিত হয়েছে কি না।