সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যে আশঙ্কার কথা বিরোধীরা বলছিল, সেটাই যেন সত্যি হচ্ছে। BBC‘র দিল্লি এবং মুম্বই দপ্তরে আয়কর হানা এবার কার্যত আন্তর্জাতিক কূটনীতির ইস্যু হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ব্রিটেন তো বটেই সংবাদমাধ্যমের দপ্তরে এই হানা নিয়ে ভারত সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে খোদ আমেরিকাও। মার্কিন প্রশাসন ইতিমধ্যেই আয়কর বিভাগের কাছে এ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দাবি করেছে।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) নিয়ে তৈরি বিবিসির তথ্যচিত্র নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই মঙ্গলবার দুপুরে বিবিসির (BBC) দিল্লি ও মুম্বইয়ের অফিসে হানা দিয়েছিল আয়কর দপ্তর (IT department)। মঙ্গলবার দুপুরে শুরু হওয়া সেই তল্লাশি এখনও চলছে। সূত্রের খবর, রাতভর আয়কর বিভাগের কর্মীরা বিবিসির দপ্তরে তল্লাশি চালান। আজও দিনভর চলতে পারে তল্লাশি। বিবিসির এই দপ্তরের অধিকাংশ কর্মীকে আজ অফিসে যেতে বারণ করা হয়েছে। তাঁদের ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও আয়কর বিভাগের সূত্র এই ঘটনাকে ‘হানা’ বা ‘রেইড’ বলতে নারাজ। আয়কর বিভাগ বলছে, বিবিসির অফিসে শুধু সমীক্ষা চালানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন: সংবাদমাধ্যমকে ভয় দেখানো ও হেনস্তার চেষ্টা চলছে, BBC দপ্তরে আয়কর ‘হানা’ নিয়ে উদ্বিগ্ন এডিটর্স গিল্ড]
এ নিয়ে ইতিমধ্যেই ভারত সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে আমেরিকা। মার্কিন (USA) বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বিবৃতি দিয়ে বলছেন, ‘ভারতে বিবিসির দপ্তরে আয়কর হানার ব্যাপারে আমরা অবগত। তবে আমরা এখনই এ বিষয়ে কোনও মতামত দেওয়ার অবস্থানে নেই। আমরা ভারত সরকারের সংস্থাগুলির কাছে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য চাইব।’ এরপরই তাৎপর্যপূর্ণভাবে প্রাইস (Ned Price) বলে দিয়েছেন, আমরা বিশ্বজুড়ে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং ধর্মীয় স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। এটাই বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করবে, আমেরিকায় এটাই গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করেছেন, ভারতেও করেছে।
[আরও পড়ুন: দেশের শিল্পপতিরা বিজেপির পাশেই! অনুদানের অঙ্কে বাকিদের থেকে বহু এগিয়ে গেরুয়া শিবির]
শুধু আমেরিকা নয়, ব্রিটিশ সরকারও পুরো বিষয়টির উপর নজর রাখছে বলে খবর। বিবিসি অবশ্য মঙ্গলবার দুপুরের পর আর কোনও বিবৃতি দেয়নি। তাঁদের একই অবস্থান, পুরো বিষয়টির দ্রুত নিষ্পত্তি হোক। নিজেদের অবস্থানে অনড় ভারত সরকারও। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর স্পষ্ট করে দিয়েছেন, আইন আইনের পথেই চলবে।