সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একে জলসংকট। জলকষ্টে ভুগছে একাধিক গ্রাম, এমনকী বড় বড় প্রযুক্তি কেন্দ্রগুলোও। এর মাঝেই অস্বাভাবিক তাপপ্রবাহে পুড়ছে বেঙ্গালুরু। জারি করা হয়েছে সতর্কতা। অসময়ের গরমে শরীর সুস্থ রাখতে নির্দেশিকা জারি করেছে কর্নাটকের স্বাস্থ্যদপ্তর।
বছরের এই সময় সাধারণত বেঙ্গালুরুতে নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া থাকে। না বেশি গরম। না বেশি ঠান্ডা। এই পরিবেশেই অভ্যস্ত সকলে। কিন্তু এবছরের ফেব্রুয়ারি থেকেই অস্বাভাবিক হারে গরম পড়তে শুরু করেছে সেখানে। শুরু হয়েছে তাপপ্রবাহ। এখনই তাপমাত্রার পারদ ছুঁয়েছে ৩৩ থেকে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই পরিস্থিতিতে জারি করা হয়েছে সতর্কতা।
সকলের জন্য বিশেষ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে কর্ণাটকের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের তরফে। সেখানে বলা হয়েছে, প্রবল গরমে শরীরকে হাইড্রেট রাখতে, বেশি করে জল খেতে হবে। পাশাপাশি লেবুর জল, ফলের রস, লস্যি, শাক-সবজি ইত্যাদি খাওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে যে সমস্ত ফল ও সবজিতে জলের পরিমাণ বেশি রয়েছে সেগুলো খেতে বলা হয়েছে। গরমে বাইরে বেরলে হালকা সুতির পোশাক পরার কথাও বলা হয়েছে। রোদে মুখ ও মাথা ঢেকে রাখার কথা বলা হয়েছে। প্রয়োজন না হলে বাইরে না বেরনের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। গর্ভবতী মহিলা, বয়স্ক ব্যাক্তি ও শিশুদের এসময় বিশেষ যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বলে রাখা ভালো, গত বছর থেকে ফের কাবেরী জলবণ্টন নিয়ে বিবাদ শুরু হয়েছে তামিলনাড়ু ও কর্ণাটকের মধ্যে। মামলা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। কাবেরী জলবণ্টন কর্তৃপক্ষের তরফে তামিলনাড়ুকে ৫ হাজার কিউসেক জল দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কর্নাটককে। এদিকে গরম পড়ার আগে থেকেই বেঙ্গালুরুর একাধিক গ্রাম প্রবল জল জলসংকটে ভুগছে। বেঙ্গালুরুর জলসরবরাহ বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, প্রযুক্তি কেন্দ্রগুলোতে কাবেরী থেকে জল সরবরাহের কোনও ব্যবস্থা নেই। তার মাঝে এই অস্বাভাবিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি পরিস্থিতি আরও অসহনীয় করে তুলেছে।