সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আলোর অভাব। তাই ৩২ জন রোগীর ছানির অস্ত্রোপচার হল টর্চের আলোতেই। আর এমন কাণ্ড ঘটানোয় সাসপেন্ড করা হল সরকারি হাসপাতালের এক চিকিৎসককে।
[‘কুলভূষণ সন্ত্রাসী, ভারতের উচিত সাক্ষাতের জন্য পাকিস্তানের কাছে কৃতজ্ঞ থাকা’]
ঘটনা উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ের নবাবগঞ্জে। সোমবার রাতে কমপক্ষে ৩২ জন রোগীর ছানির অস্ত্রোপচার করা হয়। আর সেই অস্ত্রোপচারে আলোর উৎস ছিল মাত্র দুটি টর্চ। যোগীর রাজ্যে নবাবগঞ্জের মতো গ্রামের বাসিন্দারা দিনে ১২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ পরিষেবা পেয়ে থাকেন। বাকি সময়টা অন্ধকারেই ডুবে থাকে গোটা গ্রাম। সেই গ্রামেরই প্রাথমিক হেল্থ কেয়ার সেন্টারে হয়েছে এই অস্ত্রোপচার। অস্ত্রোপচারের পর প্রায় ছ’ঘণ্টা ঠান্ডার মধ্যেই মেঝেতে শুয়ে থাকতে হয়েছিল রোগীদের। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এমন অবহেলা কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না প্রশাসন। বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ থাকলেও টর্চের আলোর ভরসায় রোগীদের অস্ত্রোপচারের ঝুঁকি নেওয়া উচিত হয়নি বলেই মনে করছেন উন্নাও জেলা প্রশাসক রবি কুমার এন। তিনি বলছেন, হাসপাতাল চূড়ান্ত গাফিলতির পরিচয় দিয়েছে। এ বিষয়টি কিছুতেই মেনে নেওয়া হবে না। যুগ্ম প্রশাসক মণীশ বনসাল এবং সহ-প্রধান মেডিক্যাল অফিসার আরকে গৌতমকে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন কুমার।
[‘পশ্চিমী প্রভাব কাটিয়ে ভারতীয় পোশাক পরুন বিজেপি মন্ত্রীরা’]
সোমবার সন্ধে ৭টা নাগাদ বিদ্যুৎ চলে যায়। আবার মঙ্গলবার সকালে পরিষেবা চালু হয়েছিল। কিন্তু অন্ধকারের মধ্যেই অস্ত্রোপচারের অনুমতি দিয়েছিলেন প্রধান মেডিক্যাল আধিকারিক রাজেন্দ্র প্রসাদ। না নিয়মভঙ্গের শামিল বলেই জানাচ্ছে জেলাপ্রশাসন। আর তাই এমন দায়িত্বজ্ঞানহীনতার জন্য রাজেন্দ্রর বদলি করে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে পিএইচসি সুপারিনটেনড্যান্ট দীনেশ দাসকে রোগীদের প্রতি অবহেলার অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছে। প্রশাসনের দাবি, ওই হেল্থ কেয়ার সেন্টারটি ছানি অস্ত্রোপচারের জন্য মূলত কাজই করে না। প্রাথমিক চিকিৎসাই হয় সেখানে। অন্য সেন্টারে অস্ত্রোপচারের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত হয়নি।
The post টর্চের আলোয় অস্ত্রোপচার করে সাসপেন্ড চিকিৎসক appeared first on Sangbad Pratidin.