সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হেলমেট না থাকায় ফাইন করেছিলেন। পাশাপাশি পুলিশের সঙ্গে অভব্য আচরণ করায় আটক করেছিলেন বিজেপি কর্মীদেরও মধ্যে কয়েকজনকে। আর সেটারই এবার মাসুল দিতে হল উত্তরপ্রদেশের পুলিশ অফিসার শ্রেষ্ঠা ঠাকুরকে। শনিবার বদলি করা হল এই মহিলা পুলিশ অফিসারকে। বুলন্দশহরের সায়না থেকে বাহরিচে পাঠিয়ে দেওয়া হল তাঁকে। ক্ষমতাসীন দলের কর্মীদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়ার কারণেই আচমকা বদলি হতে হল এই পুলিশ অফিসারকে। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ তিনি কারওর কথা না শুনে নিজের কর্তব্য পালন করেই ওই কর্মীদের আটক করেছিলেন।
[মসজিদ শব্দ দূষণের উৎস! পাঠ্য পুস্তকের ছবি ঘিরে বিতর্ক]
কয়েকদিন আগেই স্থানীয় এক বিজেপি কর্মীকে হেলমেট না পরায় জরিমানা দিতে বাধ্য করেছিলেন শ্রেষ্ঠা ঠাকুর। এমনকী এরপর ওই ব্যক্তি ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা পুলিশের সঙ্গে অভব্য আচরণ করলে পাঁচজনকে আটকও করেন। গোটা ঘটনাটির ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। অনেকেই শ্রেষ্ঠার প্রশংসাও করেন। কিন্তু ঘটনায় প্রচন্ড ক্ষুব্ধ হন বিজেপি কর্মীরা। শেষে ঘটনা সামাল দিতে ১ সাংসদ-সহ ১১ জন বিধায়কের একটি দল মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে দেখা করেন। তারপরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যোগী প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
[কোহলি-যুবরাজরা ম্যাচ গড়াপেটা করেছেন, বিস্ফোরক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী]
গত শুক্রবার বিকেলে মোটরবাইকের সঠিক কাগজপত্র না থাকায় জরিমানা করা হয় প্রমোদ লোধিকে। এরপরেই সে ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা শ্রেষ্ঠা ঠাকুরকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। এরপরই ওই ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। কিন্তু আদালতে হাজির করার সময় ফের বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি সমর্থকরা। শুধু তাই নয়, তার আগে এম এস ঠাকুরের দপ্তরের সামনেও তাঁরা বিক্ষোভ দেখায়। বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা অবশ্য পালটা অভিযোগ করেন যে, ২০০ টাকা ঘুষ দিতে না চাওয়ার জন্যই মিথ্যে মামলায় আটক করা হয়েছে প্রমোদকে। যদিও একথা অস্বীকার করেন এম এস ঠাকুর। তিনি বলেন, “যারা নিয়ম ভেঙেছিল আমরা তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই জরিমানা ধার্য করছিলাম। কিন্তু একমাত্র প্রমোদ লোধিই আপত্তি করেন। বাকিদের কোনও সমস্যা হয়নি।” এর সঙ্গেই তিনি যোগ করেন, “ওই ব্যক্তি শুধু আমার সঙ্গেই নয়, এক কনস্টেবলের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করে। এমনকী আদালতে চত্বরেও ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে।” যদিও এবার এই মামলা থেকে অব্যহতি পেয়ে গেলেন শ্রেষ্ঠা ঠাকুর। কারণ ওই অফিসার যে ইতিমধ্যে বদলি হয়ে গিয়েছেন। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজনৈতিক মহলের মত, বিজেপি কর্মীদের জরিমানা করা এবং আটক করার জন্যই বদলি হতে হল এই মহিলা অফিসারকে। রাজ্যে ক্ষমতাসীন দলের কর্মীদের হেলমেট না পড়া সত্ত্বেও কিছু না বলে ছেড়ে দিলে হয়ত শ্রেষ্ঠা ঠাকুরকে বদলি হতে হত না।