সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) দামামা বেজে গিয়েছে ভোটের। এই অবস্থায় প্রচারে এসে নানা ধরনের বিতর্কিত মন্তব্য করতে দেখা যাচ্ছে নেতাদের। কয়েক দিন আগেই মথুরায় মন্দির তৈরির কথা বলে হিন্দুত্বের তাস খেলতে দেখা গিয়েছিল রাজ্যে যোগীর ডেপুটি কেশবপ্রসাদ মৌর্যকে। শুক্রবারও এক জনসভায় একই পথে হেঁটে ফের বিতর্ক বাঁধালেন তিনি। এবার অখিলেশ যাদবকে (Akhilesh Yadav) ‘অখিলেশ আলি জিন্না’ বলে সম্বোধন করতে দেখা গেল তাঁকে।
ঠিক কী বলেছেন তিনি? এদিন জনসভায় অখিলেশের প্রসঙ্গে তাঁর কটাক্ষ, ”আমি ওঁকে অখিলেশ যাদব বলি না। বলি অখিলেশ আলি জিন্না।” সেই সঙ্গে রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণির জন্য অখিলেশ কিছুই করেননি বলেও তোপ দাগেন কেশবপ্রসাদ।
[আরও পড়ুন: দেশের সেরা রাজ্য বাংলা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে স্বীকৃতি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের]
গত মাসেই ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের তালিকায় মহম্মদ আলি জিন্নাকেও শামিল করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন অখিলেশ। ওই মন্তব্যকে ‘লজ্জাজনক’ বলে তোপ দাগেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। এদিন সেই বিতর্ককেই ফের উসকে দিতে দেখা গেল কেশবপ্রসাদ মৌর্যকে।
এর আগে একটি টুইট করে তিনি লিখেছিলেন, ”অযোধ্যা, কাশীতে মহামন্দির নির্মাণ অব্যাহত রয়েছে। মথুরার জন্য প্রস্তুতি চলছে।” উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশের মথুরায় অবস্থিত কৃষ্ণ জন্মভূমি মন্দির সংলগ্ন শাহী ইদগাহের (Shahi Idgah) জায়গাতেই শ্রীকৃষ্ণের আসল জন্মস্থান বলে দাবি করে অনেক হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। নয়ের দশকের গোড়ায় হিন্দুত্ববাদীরা স্লোগান দিত, ”ইয়ে সির্ফ ঝাঁকি হ্যায়, কাশী-মথুরা বাকি হ্যায়।” অর্থাৎ বাবরি স্রেফ শুরুয়াৎ। এরপর কাশী ও মথুরাতেও মন্দির গড়া হবে। সেই স্লোগানই যেন নতুন করে ফিরে এসেছিল কেশবপ্রসাদের টুইটকে কেন্দ্র করে।
[আরও পড়ুন: Farmers Protest: সরকারের সঙ্গে আলোচনায় কমিটি গঠন, প্রথমবার আন্দোলন প্রত্যাহারের ইঙ্গিত কৃষকদের]
ঔরঙ্গজেবের শাসনকালেই মথুরায় কৃষ্ণ জন্মভূমির একাংশ ভেঙে দেওয়া হয়েছিল বলে দীর্ঘদিন ধরে দাবি হিন্দুত্ববাদীদের। বিষয়টা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। নতুন করে মামলা করা হয় এই বছরের শুরুতেই। সেই থেকেই মথুরা নিয়ে হিন্দুত্ববাদীদের দাবি ফের জোরাল হতে শুরু করেছে। সেই বিতর্কই উসকে দিয়েছিলেন যোগীর ডেপুটি। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই এভাবে রাজ্যের উপ মুখ্যমন্ত্রীর একের পর এক বক্তব্য থেকে পরিষ্কার, এবারের নির্বাচনেও হিন্দুত্ববাদী তাসেই ভরসা রাখছে গেরুয়া শিবির।