সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সরকারি নিয়ম অনুযায়ী রোগীর কাছ থেকে নেওয়ার কথা ১ টাকা। অথচ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা পরিষেবা নিতে যাওয়া রোগীর কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছিল ২ টাকা। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে হাতেনাতে এই দুর্নীতি ধরলেন যোগীরাজ্যের বিধায়ক। যার জেরে চাকরিও গেল স্বাস্থ্যকর্মীর। সম্প্রতি এই ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মহারাজগঞ্জে।
জানা গিয়েছে, ওই সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বেহাল পরিষেবার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে সরব ছিলেন স্থানীয় জনতা। অভিযোগ উঠেছিল, আউটডোরে ডাক্তার দেখাতে গেলে বেশি টাকা আদায় করা হচ্ছে। বেশিরভাগ সময় ডাক্তার থাকেন না। বেসরকারি দোকান থেকে কিনতে হয় ওষুধ। এমনকি প্রসূতিদের জন্য যে সব সরকারি সুবিধা বরাদ্দ থাকে তাও এখানে দেওয়া হয় না। গ্রামের মানুষের কাছে এমন অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার হঠাৎ ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে হাজির হন মহারাজগঞ্জের বিজেপি বিধায়ক প্রেম সাগর প্যাটেল। এবং বাড়তি টাকা নেওয়ার সময় হাতেনাতে ধরে ফেলেন সঞ্জয় নামে এক স্বাস্থ্যকর্মী তথা ফার্মাসিস্টকে। অভিযুক্তকে বলেন, ‘আপনার কত বড় সাহস, এক টাকার জায়গায় দু’টাকা করে নিচ্ছিলেন!’ জানা গিয়েছে, সঞ্জয় একজন ঠিকাকর্মী। বিধায়কের অভিযোগের ভিত্তিতে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে চাকরি যায় সঞ্জয়ের।
শুধু তাই নয়, ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কড়া সুরে তোপ দাগেন বিধায়ক। গোটা ঘটনার ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যেখানে বিধায়ককে বলতে শোনা যাচ্ছে, 'গরিব লোকেদের থেকে জোর করে টাকা আদায় করছেন। উনি যদি ৫০ টাকা নেন সেখান থেকে আপনারা ২০ টাকা ভাগ পাচ্ছেন।' আধিকারিক অবশ্য দাবি করেন তাঁরা টাকা নেননি। পালটা বিধায়ক বলেন, 'আমি বুঝতে পেরেছি। আমাকে কিছু বোঝাতে হবে না। এইভাবে আপনারা গ্রামের মানুষের অশিক্ষা ও দারিদ্রের সুযোগ নেন।'
পাশাপাশি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আধিকারিককে বলেন, 'আপনারা যেভাবে গরিবের থেকে টাকা নিচ্ছেন তাতে একদিন এরাই আপনাদের ধরে পেটাবে। আপনারাই যত নষ্টের গোড়া। সরকারি হাসপাতালকে নষ্ট করে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে তোল্লাই দিচ্ছেন আপনারা। সরকার সব সুবিধা সরকারি হাসপাতালে দিয়েছে। তার পরও এই দুর্নীতিগ্রস্ত লোকেদের জন্য সাধারণ মানুষকে বেসরকারি হাসপাতালে যেতে হয়।' একইসঙ্গে জানান, 'রোগী এলেই আপনারা রেফার করে দিচ্ছেন। রেফার করলে এখন থেকে কারণ লিখবেন, কেন রেফার করা হল?'