সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আবারও নৃশংসতার সাক্ষী যোগী আদিত্যনাথের রাজ্য। পরকীয়া সন্দেহে মহিলার মুণ্ডচ্ছেদ করে, তাঁর আঙুল কেটে ফেলল স্বামী ও ছেলে!
উত্তরপ্রদেশের বান্দা জেলার ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শিউরে উঠছে এলাকাবাসী। পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, বছর চল্লিশের মহিলার দেহ অর্ধনগ্ন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। দেহ থেকে খানিকটা দূরে পড়েছিল তাঁর মুন্ডু। শুধু তাই নয়, ফিঙ্গারপ্রিন্ট যাতে পাওয়া না যায়, তার জন্য মহিলার হাতের চারটি আঙুল কেটে উধাও করে দেওয়া হয়। এমনকী, পরিচয় লুকাতে কেটে দেওয়া হয় মাথার চুল, উপড়ে ফেলা হয় দাঁত। তবে ইতিমধ্যেই তাঁর পরিচয় পেয়েছে পুলিশ। এসপি অঙ্কুর আগরওয়াল জানান, মৃতের নাম মায়া দেবী। মধ্যপ্রদেশের ছাতারপুরের বাসিন্দা রামকুমার আহিওয়ারের স্ত্রী।
[আরও পড়ুন: ‘দোষীকে গুলি করা উচিত’, উজ্জয়িনী ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত ছেলের কড়া শাস্তির দাবি বাবার]
প্রাথমিক তদন্তে নেমে পুলিশ অনুমান করে, এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে জড়িত মায়া দেবীর পরিবারই। এর পর পুলিশি জেরায় নাকি নিজেদের অপরাধ স্বীকার করেছেন রামকুমার, তাঁর সূরজ প্রকাশ ও ব্রিজেশ এবং আত্মীয় উদয়ভান। রামকুমারের দাবি, মায়া দেবী ছিলেন তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী। তাঁর সন্দেহ হয়, তাঁর এক ছেলের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন মায়া দেবী। এই সন্দেহের বশেই চার অভিযুক্ত মিলে মায়া দেবীকে চামরাহ গ্রামে নিয়ে গিয়ে সেখানেই খুন করেন। অভিযোগ, কুড়ুল দিয়ে মুণ্ডু উড়িয়ে দেওয়া হয় মায়া দেবীর। এর পরই চারটে আঙুল কেটে দেওয়া হয়।
তদন্ত শুরুর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ঘটনার কিনারা করতে সফল হয় পুলিশ। ওই কুড়ুল এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অভিযুক্ত চারজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান অঙ্কুর আগরওয়াল। তৎপরতার সঙ্গে ঘটনার তদন্ত করায় পুলিশকে ২৫ হাজার টাকা পুরস্কার দিচ্ছেন এসপি অঙ্কুর।