সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) ২০০৪ সালের মাদ্রাসা বোর্ড আইন ‘অসাংবিধানিক’। এমনই রায় দিল এলাহাবাদ হাই কোর্ট। উচ্চ আদালতের লখনউ বেঞ্চ আরও জানিয়েছে, ধর্মনিরপেক্ষতার নীতিকে লঙ্ঘন করছে ওই আইন। বিচারপতি বিবেক চৌধুরী ও বিচারপতি সুভাষ বিদ্যার্থীর বেঞ্চের নির্দেশ, এখন যে পড়ুয়ারা মাদ্রাসায় পাঠরত তাদের আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থার অন্তর্গত করার।
আগেই উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্যের ইসলামিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির পঠন ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হবে। সেইমতো গত বছরের অক্টোবরে গঠন করা হয় সিট। এবার এলাহাবাদ হাই কোর্টের এই রায়ের ফলে সমস্ত মাদ্রাসার সরকার থেকে প্রাপ্ত অনুদান ব্যবহারের আগেই আটকে দেওয়া হবে। পাশাপাশি ওই মাদ্রাসাগুলিকে ধ্বংসও করে দেওয়া হবে।
[আরও পড়ুন: বেনজিরভাবে মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীনই গ্রেপ্তার, দিল্লির সরকার চালাতে পারবেন ‘বন্দি’ কেজরি?]
প্রসঙ্গত, অংশুমান সিং রাঠোর নামে এক ব্যক্তির দায়ের করা মামলায় এই রায় দিয়েছে হাই কোর্ট। উত্তরপ্রদেশের মাদ্রাসা বোর্ডের সাংবিধানিকতার বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। আপত্তি জানান সংখ্যালঘু উন্নয়ন দপ্তরের অধীনস্ত মাদ্রাসা (Madrasa) পরিচালন সমিতি নিয়েও। অবশেষে শুক্রবার এই রায় দিল এলাহাবাদ হাই কোর্ট। বলে রাখা ভালো, দুসপ্তাহ আগেই উত্তরপ্রদেশে তেরো হাজার মাদ্রাসা বন্ধের সুপারিশ করল বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT)। সমস্ত মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির বিরুদ্ধেই আর্থিক তছরুপ এবং বিদেশি মুদ্রা অপব্যবহারের অভিযোগ তোলা হয়েছিল তখনই।