সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘বন্দেমাতরম‘ বলা যাবে। গাওয়া যাবে না জাতীয় সংগীত। দেশের বিভিন্ন মাদ্রাসায় এই নিয়ে যখন ফতোয়া জারির অভিযোগ উঠছে। তখন পুরো উলটো ছবি দেখা গেল উত্তরপ্রদেশের সম্ভল
জেলায়। সেখানকার মাদ্রাসা মৌলানা মহম্মদ আলি জওহর পাবলিক স্কুলে দিনের শুরুতে গায়ত্রী মন্ত্র ও কলমা পাঠ করে পড়ুয়ারা। এমনকী বন্দেমাতরম ও ইনকিলাব জিন্দাবাদও বলে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় যখন
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে তখন এই ধরনের ঘটনা নজির সৃষ্টি করবে বলেই মনে করছে সবাই।
[আরও পড়ুন: পুজো হোক বা নমাজ, আলিগড়ের রাস্তায় বন্ধ সমস্ত ধর্মীয় কার্যকলাপ]
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের সম্ভল জেলার মাহুভুর গ্রামের ওই মাদ্রাসায় এই সংস্কৃতির প্রচলন হয়েছিল ২০১২ সালে। তারপর থেকে সেখানকার প্রতিটি পড়ুয়ার এটাই রোজকার রুটিন। প্রতিদিন সকালে উঠে প্রথম এই কাজটি করে মাদ্রাসা মৌলানা মহম্মদ আলি জওহর পাবলিক স্কুলের ১৭০ জনেরও বেশি পড়ুয়া। গায়ত্রী মন্ত্র ও কলমা পাঠের পাশাপাশি বন্দে মাতরম, ভারত মাতা কি জয় ও ইনকিলাব জিন্দাবাদ বলে তারা।
ওই মাদ্রাসার এক আধিকারিক জানান, ‘হিন্দু ও মুসলিম হল সুন্দরী কনে-র দুটি চোখ। আর সেই সুন্দরী কনে হল আমাদের দেশ ভারত। যদি তার একটি চোখের কেউ ক্ষতি করে তাহলে কনের সৌন্দর্য্য নষ্ট হয়। আমরা
কখনও তা চাই না।’ তাই ছোট থেকে এখানকার পড়ুয়াদের দেশভক্তির পাঠ দেওয়া হয়। দুটি ধর্মের শিক্ষার্থীদের একইসঙ্গে কলমা এবং গায়ত্রী মন্ত্রের পাঠ দেওয়া হয়। তাঁরা চান, শিক্ষার্থীরা সকল ধর্ম সম্পর্কে জানুক। আর দেশের অখণ্ডতা বজায় রাখুক। যাঁরা মনে করেন ধর্মের কারণে বন্দেমাতরম ধ্বনি উচ্চারণ করা যায় না। তাঁরা আসলে জানেন না ইসলাম ধর্ম কী বলে। মাদ্রাসায় এই প্রক্রিয়া চালুর পর অনেকেই এর বিরোধিতা করেছিল।কিন্তু, অভিভাবকদের চাপে পিছিয়ে যেতে বাধ্য হয় তারা।
[আরও পড়ুন-ছত্তিশগড়ে সরকারি চাকরির পরীক্ষায় যৌথ সাফল্য, প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে স্বামী-স্ত্রী]
The post যোগীরাজ্যে সম্প্রীতির নজির, গায়ত্রী মন্ত্র ও কলমা পড়ে মাদ্রাসার পড়ুয়ারা! appeared first on Sangbad Pratidin.