সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহামারীকে হারানোর একমাত্র উপায় টিকাকরণ (Vaccine)। অথচ সেই টিকা নিয়ে বিস্তর গোল বেঁধেছে। কোথাও ভ্যাকসিনের আকাল তো কোথাও আবার টিকা নেওয়ার পরই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ঘটছে। এরই মাঝে যোগীর রাজ্যে ঘটে গেল এক বেনজির ঘটনা। যার পর থেকে টিকাকরণ নিয়ে গোটা দেশজুড়ে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
দেশজুড়ে নতুন করে চোখ রাঙাচ্ছে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ। রুখতে টিকাকরণে জোর দিচ্ছে সরকার। উত্তরপ্রদেশও ব্যতিক্রম নয়। যোগী রাজ্যের মহারাজগঞ্জের প্রশাসনিক কর্তা গৌরব সিং সোগরওয়ালের গাড়ির তিন চালক রয়েছেন। নাম-চন্দন কুশওয়াহা, উমেশ, আরদালি মদন। তাঁদের টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিতে গিয়েছিলেন জেলা হাসপাতালে। সেখানেই বিপত্তি বাঁধে।
[আরও পড়ুন : দেশে প্রথমবার দৈনিক করোনা আক্রান্ত ২ লক্ষ, অ্যাকটিভ কেস বাড়ল লক্ষাধিক]
উমেশকে প্রথমে কোভ্যাক্সিনের ডোজ দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ, দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয় কোভিশিল্ডের। বিষয়টি সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়ায়। এর পর বাকি দুজন চন্দন ও আরদালিকে টিকা দেওয়া হয়নি। ঘটনা প্রসঙ্গে উমেশ জানান, আমাকে কোভ্যাক্সিন ও কোভিশিল্ডের টিকা মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও আপাতত তিনি সুস্থ আছেন বলেই খবর।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এ কে শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, “এই ধরণের ঘটনা কখনওই কাম্য নয়। তবে স্বাস্থ্যকর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে দুধরণের টিকা মিশিয়ে না ফেলা হয়।” তবে ওই ব্যক্তির এখনও কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ঘটেনি বলেই জানিয়েছেন তিনি। তবে এই ঘটননা দেশজুড়ে চলতে থাকা টিকাকরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল। অনেকেই প্রশ্ন করছেন, দেশের প্রান্তিক এলাকায় এই ধরণের ঘটনা যে ঘটেনি, তা কে নিশ্চিত করবে?
[আরও পড়ুন : রাজ্যে রাজ্যে বাড়তে থাকা চাহিদার মধ্যেই হাসপাতাল থেকে খোয়া গেল ৩২০ ডোজ করোনা টিকা!]
উল্লেখ্য, টিকা নিয়ে কয়েকটি রাজ্যে ‘নেই নেই’ চিৎকার চলছে। তার মধ্যেই আবার টিকা খোয়া যাওয়ার ঘটনা সামনে এল। বুধবার রাজস্থানের একটি হাসপাতালে এমনই ঘটনা সামনে আসে। ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনের ৩২০টি ডোজ খোয়া যাওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে হাসপাতালের তরফে। হাসপাতালের তরফে টিকা চুরি নিয়ে পুলিশে একটি অভিযোগও জানানো হয়েছে।