সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরপুরুষে মন মজেছে স্ত্রীর। তা টের পেয়ে আর নিজের মাথার ঠিক রাখতে পারেনি মহিলার স্বামী। স্ত্রীর প্রেমিককে চরম শাস্তি দেবে বলে মনস্থির করে সে। যেমন ভাবনা, তেমন কাজ। স্ত্রীর প্রেমিককে খুনের পর ১২ টুকরোরও বেশি খণ্ডে দেহ টুকরো করল মহিলার স্বামী। তারপর দেহাংশ আবর্জনার স্তূপে ফেলে দেওয়া হয়। উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।
মিলাল প্রজাপতি উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের দীর্ঘদিনের বাসিন্দা। বেশ কয়েক বছর আগে দুই পরিবারের সিদ্ধান্তে বিয়ে করে মিলাল। তাদের একটি কন্যাসন্তানও রয়েছে। তবে সম্প্রতি স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকত মিলালের। সম্পর্ক যে চেনা স্রোতে বইছে না, তা টের পেয়েছিল সে। কী কারণে স্ত্রীর পরিবর্তন, তা কিছুতেই বুঝতে পারছিল না সে। দাম্পত্য সম্পর্কের টানাপোড়েনের মাঝে মিলাল জানতে পারে পরপুরুষে মন মজেছে তার স্ত্রীর।
[আরও পড়ুন: হাতে চাবির গোছা, বাইপাসের ধারে আবাসনের নিচ থেকে উদ্ধার প্রাক্তন বিমানসেবিকার দেহ]
এলাকারই বাসিন্দা অক্ষয়ের সঙ্গে স্ত্রী বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন তা টের পায় মিলাল। সম্প্রতি কাজ সেরে বাড়ি ফিরে মিলাল দেখে স্ত্রী রান্নাঘরে চা করছেন। বাড়িতেই বসে রয়েছে মহিলার প্রেমিক অক্ষয়। রাগ হলেও তা প্রকাশ করেনি মিলাল। এদিকে, ঠিক সেই সময় আবার মেয়ের পায়ে গরম জল পড়ে যায়। মিলাল জানায় সে মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছে। তাই বাড়ির কাজে সেভাবে নজর দিতে পারবে না। প্রয়োজনে অক্ষয়কে সাহায্যের জন্য ডেকে নেওয়ার কথাও বলে।
মিলালের স্ত্রী-ও তড়িঘড়ি অক্ষয়কে ডেকে নেয়। তবে আচমকাই বাড়ি ফিরে আসে মিলাল। অক্ষয়ের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় তার। ধারাল অস্ত্র দিয়ে অক্ষয়ের গলার নলি কেটে দেয়। এরপর অক্ষয়ের দেহ বারো টুকরোরও বেশি খণ্ডবিখণ্ড করে মিলাল। এরপর একটি বস্তায় দেহাংশ ভরে আবর্জনায় ফেলে আসে সে। তবে এত কাণ্ডের পরেও রেহাই পায়নি মিলাল। স্থানীয়রা দেহাংশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। এরপর তদন্ত করে পুলিশ মিলালকে গ্রেপ্তার করে।