সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বারাণসীর গঙ্গা আরতি (Ganga Aarti) জগৎবিখ্যাত। দেশ-বিদেশের বহু প্রান্ত থেকে প্রায় গোটা বছরই গঙ্গার শোভা ও আলোকজ্জ্বল আরতির সাক্ষী থাকতে হাজির হন বহু মানুষ। নৌকায় সওয়ার হয়ে গঙ্গার বুকে ভাসতে ভাসতে দশশ্বমেঘ ঘাটে গঙ্গারতি দেখার অভিজ্ঞতা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। তীর্থযাত্রীদের কাছে এই পবিত্র স্থানের মাহাত্ম অনেকখানি। আর সে কথা মাথায় রেখেই এবার উত্তরপ্রদেশকে দেশের অন্যতম সেরা আকর্ষণীয় তীর্থস্থান করে তোলার লক্ষ্যে নয়া পদক্ষেপ করছে যোগী প্রশাসন।
গঙ্গা আরতি দেখার জন্য আর একই স্থানে ভিড় করার প্রয়োজন হবে না। কারণ বিজনোর ও বালিয়া জেলায় গঙ্গা বরাবর আরও ১০৩৮টি নতুন গঙ্গা আরতির ঘাট তৈরি করা হচ্ছে। শনিবার যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) প্রশাসনের মুখপাত্র জানান, ইতিমধ্যেই এই নিয়ে সবুত সংকেত দিয়েছে সরকার। শীঘ্রই ১ হাজারেরও বেশি ঘাট তৈরির কাজ শুরু হবে। উত্তরপ্রদেশকে বৃহৎ তীর্থস্থানে পরিণত করতেই এই পদক্ষেপ। এতে গঙ্গা আরতি চাক্ষুস করার উৎসাহ আরও বাড়বে বলেই আশা করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: কাশ্মীরে খুলল দেশের প্রথম ইগলু ক্যাফে, পর্যটকদের মধ্যেও উৎসাহ তুঙ্গে]
ইতিমধ্যেই ঘাট তৈরির একটি প্রাথমিক ব্লু-প্রিন্টও তৈরি করে ফেলেছে উত্তরপ্রদেশের পর্যটন বিভাগ। সেই নকসা অনুযায়ী, মূলত দুই জেলার গ্রামাঞ্চলেই তৈরি হবে ঘাটগুলি। প্রতি পাঁচ কিলোমিটারে থাকবে একটি করে ঘাট। এই গঙ্গা আরতিতে অংশ নিতে পারবেন তীর্থে আসা ভক্তরা। প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে হবে আরতি। এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে গঙ্গা তীরবর্তী প্রাচীন গ্রামগুলির সঙ্গেও পরিচিতি ঘটবে পর্যটকদের। এভাবেই তাঁরা ভারতের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে একাত্ম হওয়ার সুযোগও পাবেন।
তবে গঙ্গা আরতির জন্য ঘাটের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে গঙ্গাকে পরিচ্ছন্ন রাখার চ্যালেঞ্জও কয়েকগুণ বাড়বে। কারণ তীর্থযাত্রীরা গঙ্গাস্নান করবেন, পুজো দেবেন। তার জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা করছে প্রশাসন। গঙ্গা স্বচ্ছতা অভিযান চালিয়ে যেতেও বিশেষ পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ একদিকে যেখানে অযোধ্যায় গড়ে উঠছে রাম মন্দির, তখন নতুন রূপে ধরা দেবে গঙ্গা আরতি। এককথায়, উত্তরপ্রদেশকে নয়া আঙ্গিকে আবিষ্কার করতে পারবেন তীর্থযাত্রীরা।