সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যোগী আদিত্যনাথ মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার পর থেকেই উত্তরপ্রদেশে জঙ্গলরাজ চলছে বলে মাঝে মধ্যেই অভিযোগ জানায় বিরোধীরা। অপরাধীদের দমন করার বদলে অনেক পুলিশকর্মী নিজেরাই বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে বলেও তাদের দাবি। সম্প্রতি তারই প্রমাণ পাওয়া গেল যোগী আদিত্যনাথের গড় বলে পরিচিত গোরখপুরে (Gorakhpur)। একটি সোনার দোকানে ডাকাতি করার পাশাপাশি অন্য একটি দোকানের এক কর্মচারীর থেকে নগদ-সহ ৩৫ লক্ষ টাকার গয়না লুট করার অভিযোগে ধরা পড়ল সাব ইনস্পেক্টর-সহ তিন পুলিশকর্মী। তাদের সঙ্গে ধরা হয়েছে আরও তিন দুষ্কৃতীকেও। ঘটনাটির কথা প্রকাশ্যে আসার পরেই প্রবল বিতর্ক তৈরি হয়েছে। রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে কংগ্রেস-সহ বিভিন্ন বিরোধী দলগুলি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত তিন পুলিশকর্মী গোরখপুরে কর্তব্যরত ছিল। সম্প্রতি তাদের বাসতি (Basti) জেলার পুরানি বাসতি পুলিশ স্টেশনে ট্রান্সফার করে দেওয়া হয়। গত বুধবার গোরখপুর থেকে লখনউ যাওয়ার সময় ওই তিন পুলিশকর্মী আরও ৩ জন দুষ্কৃতীর সাহায্যে স্থানীয় একটি সোনার দোকানে ডাকাতি করে। পরে মহারাজগঞ্জের অন্য একটি সোনার দোকানের কর্মচারীর থেকে সোনা ও নগদ ছিনিয়ে নেয়। এই বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার পরেই তদন্ত নেমে পুরানি বসতি থানা থেকে অভিযুক্ত তিন পুলিশকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতদের কাছ থেকে ১৯ লক্ষ টাকা নগদ এবং ১৬ লক্ষ টাকার সোনা ও রুপোর গয়না উদ্ধার হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি এসইউভি গাড়িও। ধৃতরা হল সাব ইনস্পেক্টর ধর্মেন্দ্র যাদব ও দুই কনেস্টবল মহেন্দ্র যাদব ও সন্তোষ যাদব।
[আরও পড়ুন: পরিচয় লুকিয়ে ধর্ষণ, ধর্ম বদলে বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার যুবক]
এপ্রসঙ্গে বাসতি জেলার পুলিশ সুপার হেমরাজ মীনা জানান, ডাকাতিতে জড়িত ওই তিন পুলিশকর্মীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের চাকরি থেকে তাড়ানোরও প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পাশাপাশি অভিযুক্তরা যে কর্তব্যরত অবস্থায় ডাকাতির ঘটনায় যুক্ত ছিল তা লুকিয়ে রাখার জন্য আরও ৯ জন পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। অন্যদিকে ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৯৫ ও ৪২০ ধারায় মামলা রুজু করেছে গোরখপুর থানার পুলিশ।