সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বৈবাহিক ধর্ষণ অপরাধ কিনা তার সিদ্ধান্ত নেবে আদালত। কিন্তু আজও এদেশে সন্তান অবাঞ্ছিত কিনা তার সিদ্ধান্ত নেন স্বামী। যিনি গর্ভধারণ করেন সেই স্ত্রীর ভূমিকা সেখানে গৌণ। উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) একটি মর্মান্তিক ঘটনায় এমন প্রসঙ্গই উঠে এল। স্বামীর খাওয়ানো গর্ভনিরোধক ওষুধে (Abortion Pill) মৃত্যু হল এক তরুণীর। মৃতার পরিবার স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছে স্থানীয় থানায়। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে তরুণীর দেহ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতা বছর সাতাশের গীতা যাদব (Gita Yadav)। অভিযুক্ত স্বামীর নাম বিপিন যাদব (Bipin Yadav)। বছর ছয়েক আগে গীতা ও বিপিনের বিয়ে হয়। তাঁদের দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। এবার পাঁচ মাসে আগে গর্ভবতী হন গীতা। সম্প্রতি তা জানতে পারে দম্পতি। অভিযোগ, বিপিন জোর করে গীতাকে গর্ভনিরোধক ওষুধ খাওয়ান। এরপরেই অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। অতিরিক্ত রক্তপাত শুরু হয় তাঁর। পরিস্থিতি জটিল হলে গীতকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। রোগীর পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সেখানকার চিকিৎসকরা গীতাকে লালা লাজপত রায় হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। সেখানে পৌঁছালে চিকিৎসকরা জানান গীতার ইতিমধ্যে মৃত্যু হয়েছে।
[আরও পড়ুন: শিব সেনা কার? সুপ্রিম কোর্টে জোর টক্কর শিণ্ডে-উদ্ধবের, মামলা গড়াতে পারে বৃহত্তর বেঞ্চে]
এরপরেই গীতার বাপের বাড়ির লোক বিপিনের যাদবের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায় স্থানীয় থানায়। থানার পুলিশ আধিকারিক প্রকাশ চন্দ্র জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে বিপিনের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় একটি মামলা করা হয়েছে। প্রকাশ আরও জানান, গীতার দেহ ময়নাতদন্তে পাঠান হয়েছে। ওই রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ স্পষ্ট হবে। বলেন, জোর করে গর্ভনিরোধক খাওয়ানোর বিষয়টি প্রমাণ হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: বাজারে প্রচুর দেনা! গাড়িতে স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে গায়ে আগুন দিলেন ব্যবসায়ী]
উত্তরপ্রদেশের এই ঘটনায় একাধিক প্রসঙ্গ উঠে আসছে। প্রথমত, সন্তান ‘অবাঞ্ছিত’ কিনা তার সিদ্ধান্ত কি সব সময় স্বামীই নেবেন? আরও বড় প্রশ্ন, সন্তান ধারনের জন্য একা স্ত্রীই কি দায়ী? কেন গর্ভনিরোধক খেয়ে মরতে হবে একজন মহিলাকে।