সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিয়ে (Marriage) দুই আত্মার ভালবাসা ও সহমর্মিতার বন্ধন। কিন্তু সমাজে বিয়ে নামের প্রতিষ্ঠানকে যেভাবে দেখা হয়, তাতে এই বন্ধন নিয়েই হাজার প্রশ্ন উঠতে পারে। নতুন সহস্রাব্দ শুরু হয়েও সিকি শতক পেরোতে চলল, আজও গায়ের রং বিয়ের কনে পছন্দের অন্যতম শর্ত হয়ে রয়ে গিয়েছে। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বান্দায় এক যুবতী বারবার বিভিন্ন পাত্রপক্ষের কাছে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে শেষ পর্যন্ত নিলেন চরম সিদ্ধান্ত। তাঁর আত্মহত্যার পরে ফের নতুন করে উঠছে এই প্রশ্ন। আর কত প্রাণহানির পরে এই মানসকিতার বদল আসবে? আদৌ কি আসবে?
ঠিক কী হয়েছিল? যুবতীর মা জানিয়েছেন, তাঁদের মেয়ে পড়াশোনায় খুবই ভাল ছিলেন। কিন্তু পড়াশোনা শেষে তাঁর বিয়ের পরিকল্পনা শুরু হতেই ছবিটা বদলে যায়। একের পর এক পাত্রপক্ষ ‘প্রত্যাখ্যান’ করতে থাকেন তাঁকে। অভিযোগ, মেয়ের গালে কালো কালো ছোপ রয়েছে। এই ‘ময়লা’ রঙের কারণেই তাঁকে পুত্রবধূ করতে রাজি নন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: কোয়াডে চিনকে হুঁশিয়ারি রাষ্ট্রনেতাদের, বাইডেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক নিয়ে উচ্ছ্বসিত মোদি]
ক্রমাগত এই অপমান সইতে সইতে ভেঙে পড়তে থাকেন ওই যুবতী। গত ১০ বছর ধরে তাঁর মুখের ত্বকের চিকিৎসাও চলছিল। কিন্তু কোনও উন্নতি হয়নি। আর তার ফলে পাত্রপক্ষও লাগাতার তাঁকে ‘প্রত্যাখ্যান’ করতে থাকেন। বাড়ির লোকের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই অবসাদে ভুগছিলেন ওই যুবতী। শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হল তাঁকে।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে গুজরাটের সুরাটে ২৫ বছরের এক গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ ওঠে তাঁর শ্বশুরবাড়ির সদস্যের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, পণের জন্য চাপের পাশাপাশি গায়ের রং কালো হওয়ায় নিয়মিত গঞ্জনা সহ্য করতে হত তাঁকে। শেষ পর্যন্ত তাঁকে খুন করা হয় তাঁকে। বারবার এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি পরিষ্কার করে দেয়, ভারতের মতো ঔপনিবেশিক দেশে আজও গায়ের বর্ণ কত বড় ‘ফ্যাক্টর’ হয়ে রয়েছে। জন সচেতনতা ছাড়া যা থেকে মুক্তির উপায়ও নেই বলে জানিয়েছে ওয়াকিবহাল মহল।