সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহিলাদের নিরাপত্তা ও ধর্ষণের প্রতিবাদে উত্তাল হল গোটা দেশ। কিন্তু এমন জঘন্য অপরাধ কি সমাজ থেকে দূর করা গেল? উত্তর অবশ্যই না। কারণ কাঠুয়া, উন্নাও কাণ্ডের পরও একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা উঠে আসছে খবরের শিরোনামে। ফের যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যেই গণধর্ষণের শিকার হলেন এক মহিলা।
[NEET পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকের বিশ্রামের জন্য এগিয়ে এল কেরলের মসজিদ]
এবারের ঘটনাস্থল উত্তরপ্রদেশের মুজাফ্ফরনগর। দিল্লি-দেরাদুন জাতীয় সড়কের উপর চলন্ত গাড়িতেই দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ২৬ বছরের যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। পুলিশকে দেওয়া বয়ানে নির্যাতিতা জানান, আর কে মেহতা নামের এক ব্যক্তি ওই মহিলাকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়েছিল। মহিলাকে মেসেজ করে তার সঙ্গে দেখা করতে বলে মেহেতা। সোমবার নিজের পুত্র সন্তানকে নিয়ে মহিলা তার সঙ্গে দেখা করতে গেলে চলন্ত গাড়িতেই যুবতীকে ধর্ষণ করা হয়। মেহেতা ও তার এক বন্ধুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন যুবতী। শুধু তাই নয়, তাঁকে ধর্ষণের আগে তিন বছরের শিশুকে গাড়ি থেকে ছুড়ে ফেলে দেয় অভিযুক্তরা। স্থানীয় গ্রামবাসীরা গুরুতর জখম অবস্থায় শিশুটিকে রাস্তার ধারে পড়ে থাকতে দেখে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। আপাতত তার অবস্থা স্থিতিশীল বলেই খবর। ধর্ষণের পর যুবতীকেও হাইওয়ের ধারে চাপার এলাকায় ফেলে রেখে চম্পট দেয় দুজন।
[‘লজ্জায় মাথা হেঁট’, কাশ্মীরে বিক্ষুব্ধদের পাথরের ঘায়ে পর্যটকের মৃত্যুতে মন্তব্য মুফতির]
সিটি পুলিশ সুপার ওম্বির সিং জানান, মহিলাকে উদ্ধার করে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয়েছে তল্লাশি। মহিলা এও জানান, ধর্ষণের আগে তাঁকে মদ্যপান করানো হয়। নেশার কিছু সেবনও করানো হয়েছিল। তাই ধর্ষণে বাধা দেওয়ার শক্তি হারিয়েছিলেন তিনি। এমন ঘটনা বারবারই নারী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে। কেন আকছার এমন ঘটছে, কোন দিকে এগোচ্ছে সমাজ? প্রশ্নগুলো উঠছে, উত্তর অধরাই।