বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: বিধানসভা ভোটের (WB Assembly Election) আগে প্রার্থী তালিকা ঠিক করতে হিমশিম দশা বিজেপির। কয়েক দফায় তা প্রকাশ করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার ১৪৮ কেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করতে গিয়ে ফের অস্বস্তিতে পড়েছে গেরুয়া শিবির। চৌরঙ্গি কেন্দ্র থেকে বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা সোমেন মিত্রর স্ত্রী শিখা মিত্রর স্ত্রীর নাম ঘোষণা করে বিপাকে পড়েছেন নেতারা। খবর শুনেই নিজের প্রার্থী হওয়ার খবর ‘ভুল’ বলে জানিয়েছেন শিখাদেবী। ছেলে রোহন মিত্র সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁর মা বিজেপির প্রার্থী হচ্ছেন না। শিখাদেবীর এই ভূমিকার জন্য তাঁকে ফোন করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)।
সোমেনপুত্র রোহন জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতেই সোনিয়া গান্ধী ফোন করেছিলেন তাঁর মা শিখা মিত্রকে। উভয়ের মধ্যে ১০ মিনিট কথা হয়। সোনিয়া জানিয়েছেন, ”আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এখন এমন একটা সময় চলছে, যখন গোটা দেশ থেকে বিজেপিতে যোগদানের জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যাচ্ছে, আপনি সেখানে ওদের প্রত্যাখ্যান করেছেন। আপনার এই ভূমিকা দল সবসময়ে মনে রাখবে। অনেক শুভেচ্ছা।” প্রসঙ্গত দিন কয়েক আগে সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলেন শিখা মিত্র। বৃহস্পতিবার রাতে টেলিফোনে কথোপকথনের সময়ে সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন কংগ্রেস সভানেত্রী। জানান যে নির্বাচনের জন্য আপাতত তিনি একটু ব্যস্ত আছেন। তাই শিখাদেবীর চিঠির জবাব দিতে পারেননি। অবশ্যই তার উত্তর দেবেন।
[আরও পড়ুন: পনির তাজা রাখতে শৌচালয়ের জল ব্যবহার! শিয়ালদহ স্টেশনের ঘটনায় ক্ষুব্ধ যাত্রীরা]
বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী ১৪৮টি আসনে বিজেপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন। তাতেই চৌরঙ্গি আসন থেকে প্রার্থী ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক শিখা মিত্র চৌধুরীর নাম। কিন্তু সেই নাম ঘোষণা হওয়ার পরই বিবৃতি দেন শিখা-সোমেনের পুত্র রোহন। তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন, “আমার মা কোনও জায়গা থেকেই ভোটে দাঁড়াচ্ছেন না। অন্তত বিজেপি থেকে তো নয়ই। কেউ আমাদের কাছ থেকে অনুমতি না নিয়ে নাম ঘোষণা করেছে।” এরপর শিখা মিত্রও জানিয়ে দেন, “আমি বিজেপির হয়ে দাঁড়াচ্ছি না। ভুল সংবাদ পরিবেশন হচ্ছে। এটা আদৌ বিশ্বাসযোগ্য নয়। নিজেই বলছি, আমি কোথাও ভোটে দাঁড়াচ্ছি না।” এরপর সন্ধেবেলা তাঁদের বাড়িতে গিয়ে সাক্ষাৎ করেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তাতে আবার নতুন জল্পনা উসকে ওঠে। তবে সমস্ত গুঞ্জনে জল ঢেলে দিল সোনিয়া গান্ধীর ফোন। বোঝা গেল, দলবদল নয়, বরাবরের কংগ্রেসেই থাকছেন সোমেনপত্নী শিখা মিত্র।