সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এই স্যানিটাইজারের জীবাণু মারার ক্ষমতা মারাত্মক, ওই খাবারে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বেই। আবার কারও দাবি তাদের পণ্য সম্পূর্ণ স্বদেশি। সুতরাং, তাতেই আস্থা রাখতে হবে। করোনা (Corona Virus) কালে এমন বিজ্ঞাপন টেলিভিশন খুললে কিংবা ইউটিউবে প্রায়শই দেখতে পাওয়া যায়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যা দাবি করা হয়ে থাকে, তার অনেকটা কমই প্রাপ্ত হয়। অর্থাৎ ক্রেতারা প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হন। অতিরঞ্জিত, বিভ্রান্তিকর এই বিজ্ঞাপনগুলির ক্ষেত্রে কড়া হতে চলেছে সেন্ট্রাল কনজিউমার প্রোটেকশন অথরিটি (CCPA)। অযথা বিজ্ঞাপনে বিভ্রান্তিকর দাবি করা হলে তার জন্য বেশ ভালই খেসারত দিতে হবে সংস্থাকে। দোষ প্রমণিত হলে অন্তত ২ বছরের জেল কিংবা ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
উল্লেখ্য, করোনা (COVID-19) পরিস্থিতিতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ঘর পরিচ্ছন্ন রাখার সামগ্রী, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন খাবারের বিজ্ঞাপনের ছড়াছড়ি। এমনকী, কিছু পণ্যের বিজ্ঞাপন আবার নতুন করে এই দিকগুলিকে প্রাধান্য দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। TAM মিডিয়া রিসার্চের গবেষকদের দাবি, জানুয়ারি মাস থেকে জুলাই পর্যন্ত শুধুমাত্র হ্যান্ড স্যানিটাইজারের বিজ্ঞাপনের পরিমাণ ১০০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: পরিচয় লুকিয়ে ধর্ষণ, ধর্ম বদলে বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার যুবক]
প্রায় প্রত্যেক মধ্যবিত্ত বাড়িতে মাসের বাজারে তালিকায় এখন স্যানিটাইজার রাখা হয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোরও কিছু না কিছু খাবারের সামগ্রী থাকে। প্যানডেমিকের আবহে বাজারে যত এই ধরনের পণ্যের চাহিদা বেড়েছে, ততই বিজ্ঞাপনের বহর বেড়েছে। অভিযোগ, প্রতিযোগিতার এই বাজারে টিকে থাকতেই কৌশলের মাধ্যমে কাজ হাসিল করতে চাইছেন অনেক সংস্থা। এদের নিয়ন্ত্রণ করতেই কড়া নিয়ম এনেছে সেন্ট্রাল কনজিউমার প্রোটেকশন অথরিটি। বিজ্ঞাপনে বিভ্রান্তিকর দাবি রুখতে উদ্যোগী হয়েছে অ্যাডভার্টাইজিং স্ট্যান্ডার্ড কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়াও (ASCI)। শোনা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত নেটদুনিয়ার প্রায় এই ধরনের ৬৫০টি বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।