সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিতর্কিত কৃষি আইন (Farm bill) নিয়ে আরও চাপে মোদি সরকার। কানাডার (Canada) পর এবার প্রতিবাদী চাষীদের পাশে দাঁড়ালেন মার্কিন আইনপ্রণেতাদের একাংশ।
[আরও পড়ুন: ব্রিটেনে গণ টিকাকরণ শুরু, ৯০ বছরের মহিলাই প্রথম নিলেন ফাইজারের ভ্যাকসিন]
সম্প্রতি, নয়াদিল্লির ক্ষোভ উসকে কৃষকদের প্রতি সমর্থন ঘোষণা করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)। এবার সেই পথেই হাঁটলেন মার্কিন কংগ্রেসের সদস্য ডাগ লা-মালফা। তিনি বলেন, “ভারতে বিক্ষোভরত পাঞ্জাবি কৃষকদের পাশে রয়েছি, যাঁরা নিজেদের জীবনধারণের জন্য এবং সরকারি বিধির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন।” ক্যালিফোর্নিয়ার এই রিপাবলিকান সেনেটরের বক্তব্য, “সরকারের বিরুদ্ধে পাঞ্জাবি কৃষকদের শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করার অনুমতি দেওয়া উচিত।” একই সুর শোনা যায় ডেমোক্র্যাটিক কংগ্রেসম্যান জশ হার্ডারের গলায়। তিনি বলেন, “ভারত পৃথিবীর বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ। তাদের উচিত নাগরিকদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অনুমতি দেওয়া। আমি আন্দোলনকারী এবং প্রধানমন্ত্রী মোদিকে শান্তিপূর্ণ আলোচনায় বসতে বলব।” কংগ্রেসের আর এক সদস্য টি জে কক্স বলেন, “ভারতের নাগরিক সুরক্ষা এবং প্রতিবাদের অধিকার রক্ষার বিষয়ে সচেতন হওয়া উচিত। আরও এক ডেমোক্র্যাট কংগ্রেস সদস্য অ্যান্ডি লেভিন জানালেন, তিনি কৃষকদের এই আন্দোলন অনুপ্রাণিত।
উল্লেখ্য, নয়াদিল্লি নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে জানিয়েছে, কৃষক বিক্ষোভ ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এই বিষয়ে তৃতীয় পক্ষের কোনও মন্তব্য কাম্য নয়। কানাডাকেও আগেই কড়া ভাষায় প্রতিবাদ জানিয়েছে নয়াদিল্লি। এবার মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যদের একাংশের বয়ানে ওয়াশিংটন-নয়াদিল্লি সম্পর্কে প্রভাব যে পড়বে তা স্পষ্ট। বিশ্লেষকদের মতে, মার্কিন মসনদে পালাবদল পর্বে ট্রাম্পের প্রস্থান ও বিডেনের আগমনের মাঝামাঝি সময়ে হোয়াইট হাউসের অন্দরেও তোলপাড় চলছে। ফলে ভারতের প্রেক্ষিতে মার্কিন বিদেশনীতির পর্ব যে কিছুটা অনিশ্চিত হতে পারে তা বলাই বাহুল্য।