shono
Advertisement

নরমাংস খেলেই মস্তিষ্ক খুলবে! বৃদ্ধকে খুনে ধৃত যুবকের স্বীকারোক্তি শুনে চোখ কপালে দুঁদে গোয়েন্দাদের

আমেরিকার আইডাহো প্রদেশে এই প্রথম নরমাংস খাদকের বিরুদ্ধে দায়ের মামলা।
Posted: 06:03 PM Dec 21, 2021Updated: 06:08 PM Dec 21, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নরমাংস খাওয়ার মতো মধ্যযুগীয় অভ্যাস ছেড়ে যে আজকের আধুনিক মানুষ বেরিয়ে আসতে পারেনি, তারই বোধহয় জলজ্যান্ত উদাহরণ মার্কিন (US) যুবক জেমস ডেভিড রাসেল। মাস তিন আগে এক বৃদ্ধের খুনের ঘটনায় সম্প্রতি গ্রেপ্তার হয়েছে আমেরিকার আইডাহো প্রদশের বছর উনচল্লিশের যুবক। পুলিশি জেরার মুখে তার স্পষ্ট স্বীকারোক্তি, নরমাংসের (Cannibal) বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ খেলে মস্তিষ্ক আরও খুলবে বলেই বিশ্বাস তার। বলা হচ্ছে, আইডাহো প্রদেশে নরমাংস খাদকের বিরুদ্ধে এই প্রথম কোনও মামলা দায়ের হল।

Advertisement

ঘটনার সূত্রপাত গত সেপ্টেম্বরে। ডেভিড ফ্ল্যাগেট নামে বছর সত্তরের এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার হয়। সেই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে প্রথমেই কিছু অসংগতি পাওয়া পান তদন্তকারীরা। দেখা যায়, ফ্ল্যাগেটের দুটি হাত টেপ দিয়ে বাঁধা, শরীরের কিছু অংশ নিখোঁজ। প্রাথমিকভাবে পুলিশ একে পাচারের ঘটনা বলে মনে করছিল। সেই সূত্র ধরে খুনির খোঁজ শুরু হয়। সন্দেহের তালিকায় উঠে আসে রাসেলের নাম। তার বাসস্থানে ঢুঁ দিয়ে তো চোখ কপালে তদন্তকারীদের। রাসেলের মাইক্রোওয়েভ (Microwave) রক্তে ভরতি, গ্লাসেও রক্তের দাগ। তার ব্যাগ, ছুরি সর্বত্র রহস্যময় ছাপ। সেসব পরীক্ষা করতে গিয়েই বোঝা যায়, রাসেলই ফ্ল্যাগেটের খুনি।

[আরও পড়ুন: দেশ লকডাউনে ঘরবন্দি, অথচ ওয়াইন-উল্লাসে মেতে বরিস জনসন! ছবি ঘিরে শোরগোল ব্রিটেনে]

কিন্তু তার পাশাপাশি আরও একটি রহস্যের জট খুলতে থাকে তদন্তকারীদের কাছে। প্রথমে রাসেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়ে তার সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে পুলিশ। প্রথমেই রাসেল জানায় যে তার ব্যক্তিগত পরিসরে ঢুকে পড়েছে, যা মোটেই অনুমোদন করবে না সে। তারপর ধীরে ধীরে প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, রাসেল আসলে নরমাংস খাদক। সে বিশ্বাস করে, নরমাংস খেলে মস্তিষ্ক আরও খুলবে। কোনও ক্ষত থাকলে, তা থেকেও সুস্থ হওয়া সম্ভব। তাই ফ্ল্যাগেটকে খুনের পর তার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ খাওয়া শুরু করে।

[আরও পড়ুন: মায়ানমারে বিদ্রোহীদের শায়েস্তা করতে গণহত্যা চালাচ্ছে সেনাবাহিনী!]

কাউন্টির গোয়েন্দা অফিসার ফিলিপ স্টেলা জানিয়েছেন, মৃত্যুরহস্যের তদন্ত করতে গিয়ে আমরা যে দেখলাম, তাতে নিজেরাই শিহরিত। এটা একটা অপরাধ বা হত্যাকাণ্ডই শুধু নয়, একটা বড়সড় মনস্তাত্বিক জটিলতা। এমন রহস্য সচরাচর আমরা দেখি না। সেপ্টেম্বরের ১৩ তারিখ ফ্ল্যাগেটের মৃত্যুর তিনদিন পর ময়নাতদন্ত শেষ হয়। সেসময় যে নমুনা পাওয়া গিয়েছিল, তার সঙ্গে রাসেলের ফ্ল্যাট থেকে পাওয়া নমুনার মিল পেয়েছি। এমনকী বৃদ্ধের বেশ কিছু অঙ্গ এখনও আমরা পাইনি।” তবে এমন এক গা-শিউড়ে ওঠা ঘটনার কিনারা করতে গিয়ে পরতে পরতে চমকে উঠছেন গোয়েন্দারাও। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement