সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সদ্য হোয়াইট হাউসে ক্ষমতায় এসেছেন প্রেসিডেন্ট জো বিডেন (Joe Biden)। আর মসনদে বসেই বিদেশনীতিতে আমূল পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। এবার সংযুক্ত আরব আমিরশাহীকে অত্যাধুনিক ‘এফ-৩৫’ ফাইটার জেট দেওয়ার সিদ্ধান্তে ‘স্থগিতাদেশ’ দিলেন বিডেন।
[আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে বোমা বিস্ফোরণ, খতম পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠনের প্রধান]
গত বছর ‘Abraham Accords’-এর অন্তর্গত অমিরশাহীকে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বিক্রিতে সবুজ সংকেত দিয়েছিলেন আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই মর্মে মার্কিন বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন জানান যে আপাতত যুদ্ধবিমানটির বিক্রির প্রক্রিয়া বন্ধ রাখা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট মনে করছেন এই সিদ্ধান্তের পর্যালোচনা হওয়া দরকার। বিদেশ দপ্তরের এক সভায় ব্লিঙ্কেন বলেন, “যে কোনও নতুন প্রশাসন আগের অস্ত্র বিক্রির চুক্তি বা বরাতগুলিকে খতিয়ে দেখে। কারণ এর সঙ্গে দেশের কৌশলগত অবস্থান ও বিদেশনীতি জড়িত। আর আমরা এই মুহূর্তে এটাই করছি। আমরা পূর্ণ হৃদয়ে আব্রাহাম অ্যাকর্ডকে সমর্থন করি। আমরা মনে করি, পড়শি দেশগুলির সঙ্গে ইজরায়েলের সম্পর্ক উন্নতি খুবই সদর্থক বিষয়। আগামী দিনেও এই দিশায় ইতিবাচক পদক্ষেপ করব আমরা।”
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে মার্কিন পৌরহিত্যে আব্রাহাম অ্যাকর্ড স্বাক্ষর করে ইজরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। এটি ইজরায়েলের সঙ্গে তৃতীয় কোনও আরব রাষ্ট্রের শান্তি চুক্তি। এর আগে মিশর ১৯৭৯ সালে এবং জর্ডন ১৯৯৪ সালে ইজরায়েলের সঙ্গে শান্তি চুক্তি করে। নয়া চুক্তি মোতাবেক, ইজরায়েলকে (Israel) একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। প্রতিদানে প্যালেস্তাইনের ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক এলাকা অধিগ্রহণ করার পরিকল্পনা বাতিল করে ইহুদি দেশটি। তারপরই আমিরশাহীকে অত্যাধুনি ‘এফ-৩৫’ ফাইটার জেট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ট্রাম্প প্রশাসন। বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে একমাত্র ইজরায়েলের কাছেই রয়েছে এই বিমানটি। এই বিমান হাতে পেলে ইজরায়েলী বায়ুসেনার সঙ্গে টক্কর দেওয়ার ক্ষমতা চলে আসবে আমিরশাহীর বিমান বাহিনীর কাছে। যা কিছুতেই চাইছে না ইজরায়েল (Israel)। ইহুদি দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু প্রকাশ্যেই অমিরশাহীকে এফ-৩৫ দেওয়ার বিরোধিতা করে এসেছেন। শুধু তাই নয়, মধ্যপ্রাচ্যে অস্তিত্ব রক্ষায় বরাবর ইজরায়েলের সামরিক ক্ষমতা পড়শি আরব দেশগুলির চাইতে একধাপ এগিয়ে রাখার নীতি রয়েছে আমেরিকার।