সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত আগস্টে কাবুল দখল করেছিল তালিবান (Taliban)। তারপর থেকে চলেছে নানা টালবাহানা। বিশ্বের কোন কোন দেশ তালিবান নেতৃত্বকে স্বীকৃতি দেবে তা নিয়ে গুঞ্জনের মধ্যেই অবশেষে শনিবার আমেরিকার (US) সঙ্গে প্রথম বৈঠক করল জেহাদি গোষ্ঠীর সরকার। দোহায় হওয়া ওই বৈঠক সম্পর্কে এক আফগান (Afghanistan) কূটনীতিকের ব্যাখ্যা, ”দুই দেশের সম্পর্কের এক নতুন পাতা খোলা হল।” আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রী মোল্লা আমির খান মুত্তাক জানিয়েছে, গত বছর ওয়াশিংটনে তালিবানের সঙ্গে আমেরিকার যে চুক্তি হয়েছিল তা পুরোপুরি কার্যকর করাই লক্ষ্য তালিবানের।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ‘আল জাজিরা’র সাংবাদিক নাতাশা ঘোনিম জানাচ্ছেন, আফগানিস্তানকে অর্থনৈতিক সংকট থেকে মুক্ত করতে চাইছে তালিবান। শনিবারের বৈঠকেও সেই সুরই ছিল। তালিবানের আরজি, তাদের উপর থেকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নিক আমেরিকা। আফগানিস্তানের জাতীয় ব্যাংক থেকে আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা না তুলে নিলে তালিবানের পক্ষে নিজেদের কর্মীদের বেতন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এমনকী সাধারণ আফগান নাগরিকদের পরিষেবা দেওয়াও কঠিন হয়ে পড়েছে। আপাতত এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি চাইছে জেহাদিরা।
[আরও পড়ুন: ‘ভুয়ো তথ্য ছড়ায়, ফেসবুক গণতন্ত্রের বিপদ’, তোপ নোবেলজয়ী সাংবাদিকের]
বৈঠকে তালিবানের এহেন আরজিতে আমেরিকা কী জানিয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। তবে নাতাশার মতে, আলোচনা খুব বেশি ফলপ্রসূ হওয়ার সম্ভাবনা কম। কেননা, আমেরিকা যা চায় আর তালিবানের যা চাহিদা তাদের মধ্যে আকাশপাতাল ফারাক। যা এত তাড়াতাড়ি মেটার কোনও সম্ভাবনা নেই। এখনও পর্যন্ত এই বৈঠক সম্পর্কে আমেরিকা কোনও বক্তব্য রাখেনি।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি কাতারের রাজধানী দোহায় তালিবানের সঙ্গে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করে আমেরিকা। চুক্তি মতো আফগানিস্তান থেকে ফৌজ সরাতে রাজি হয় ওয়াশিংটন। সেই পথেই হাঁটেন বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কিন্তু আফগানিস্তান দখল করলেও সে দেশে সরকার গড়তে বেগ পেতে হচ্ছে তালিবানকে। গত সেপ্টেম্বর মাসে নির্বাসনে সরকার গঠনের কথা ঘোষণা করেন আশরফ ঘানি সরকারের ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লা সালেহ। তাঁর নেতৃত্বে নতুন সরকার গঠনের ঘোষণা করে আফগানিস্তানের ইসলামিক প্রজাতন্ত্র।