সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাশ্মীরের রাজনৈতিক নেতাদের আটক করে রাখা ও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আটক রাজনৈতিক নেতাদের দ্রুত মুক্তি দেওয়ার পক্ষেও সওয়াল করলেন মার্কিন কূটনীতিবিদ অ্যালিস ওয়েলস। পাশাপাশি, কাশ্মীরে ইন্টারনেট চালু করার প্রংশংসাও করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, শনিবার থেকেই কাশ্মীরের বিভিন্ন প্রান্তে ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হয়েছে। তবে ইন্টারনেট ব্যবহারের উপর কিছু নিষেধাজ্ঞা এখনও জারি রয়েছে। উপত্যকার বাসিন্দারা শুধুমাত্র ‘হোয়াইট লিস্টেড’ ৩০১টি ওয়েবসাইট খুলতে পারবেন। ভূস্বর্গে আপাতত সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, গুজব রুখতেই ওই সতর্কতা অবলম্বন করছে প্রশাসন।
[আরও পড়ুন : শুরুতেই জোর ধাক্কা! হেমন্ত সোরেনের সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহার জেভিএমের]
মার্কিন শীর্ষ কূটনীতিক অ্যালিস ওয়েলস বলেন, “কাশ্মীরে ইন্টারনেট পরিষেবা আংশিক ভাবে চালু হয়েছে। এই পদক্ষেপে আমি সন্তুষ্ট।” একইসঙ্গে তাঁর দাবি, “কাশ্মীরে আমাদের কূটনীতিকদের নিয়মিত প্রবেশের অনুমতি দেওয়া এবং বিনা অভিযোগে আটক নেতাদের মুক্তির জন্যে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারকে অনুরোধ করব।” কোনও অভিযোগ ছাড়াই কাশ্মীরে রাজনৈতিক নেতাদের আটক করে রাখায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতারা। এমনকী আদালতেরও দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। এমন পরিস্থিতিতে মার্কিন কূটনীতিবিদের এহেন মন্তব্য বিজেপি চালিত কেন্দ্র সরকারের রক্তচাপ বাড়াবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
[আরও পড়ুন : চাপে পড়ে প্রত্যাঘাত প্রশান্ত কিশোরের! তোপ দাগলেন নীতীশের ডেপুটিকে]
পাশাপাশি বিতর্কিত CAA’র বিরুদ্ধে দেশজুড়ে চলা বিক্ষোভ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মার্কিন শীর্ষ কূটনীতিক অ্যালিস ওয়েলস। CAA-এর আওতায় ‘সমান সুরক্ষার নীতি’র উপর জোর দেন তিনি। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের মাধ্যমে ২০১৫-এর আগে আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এই তালিকায় নেই মুসলিম শরনার্থীরা। আর তাই এই নিয়মকেই বৈষম্যমূলক ও অসাংবিধানিক বলে উল্লেখ করেছ বিরোধী দলগুলি। এই পরিস্থিতিতে মার্কিন মুলুকও এই ইস্যুতে মুখ খোলায় চাপে কেন্দ্র সরকার।
The post চাপে মোদি সরকার, কাশ্মীরে আটক নেতাদের মুক্তির পক্ষে সওয়াল আমেরিকার appeared first on Sangbad Pratidin.