অর্ণব আইচ: ২১ জুলাইয়ের (21 July) আগেই কলকাতায় যে কোনও ডিউটিতে পুলিশের মোবাইল ব্যবহারে রাশ টানল লালবাজার। শহিদ দিবসের ডিউটিতে যে পুলিশকর্মীরা থাকবেন, তাঁদেরও কড়া ভাবে পালন করতে হবে এই নির্দেশকা। ইতিমধ্যে শহিদ দিবসের মঞ্চ মুড়ে ফেলা হয়েছে কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে।
মঙ্গলবার লালবাজারের পক্ষ থেকে একটি বার্তা পাঠিয়ে প্রত্যেক পুলিশকর্তা ও আধিকারিককে জানানো হয়, সরকারি ডিউটি চলাকালীন, বিশেষত আইন ও শৃঙ্খলা, পিকেট, থানা বা কোনও সরকারি অফিসে সেন্ট্রি ডিউটি, হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড বা কুইক রেসপন্স টিমের ডিউটি চলাকালীন কোনও পুলিশকর্মী বা আধিকারিক মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন না। শুধু অফিস বা সরকারি কাজ ও প্রয়োজনীয় ফোন এলে অথবা ফোন করতে হলে মোবাইল ব্যবহার করা যাবে। এই নির্দেশ যিনি মানবেন না, তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ‘শাস্তিমূলক ব্যবস্থা’ নেওয়া হবে। লালবাজারের সূত্রের খবর, শহিদ দিবসের ডিউটিতে যে পুলিশকর্মীরা থাকবেন, তাঁরা এই নির্দেশকা যাতে কড়াভাবে পালন করেন, সেদিকেও নজর থাকবে।
[আরও পড়ুন: সুইজারল্যান্ডের সামরিক ব্যান্ডের প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়ে নজির বাংলার স্কুল পড়ুয়াদের]
এদিকে লালবাজারের এক আধিকারিক জানান, ২১ জুলাইয়ে নিরাপত্তায় কলকাতার রাস্তায় থাকবে প্রায় সাড়ে চার হাজার পুলিশ। বৃহস্পতিবার শহরে যাতে যানজট না হয় ও মসৃণভাবে যান চলাচল করতে পারে, তার জন্য ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে তৈরি করা হয়েছে স্ট্র্যাটেজি। পুলিশ জানিয়েছে, এদিন থেকেই শহিদ দিবসের মঞ্চ ঘিরে ফেলা হয়েছে কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে। ২১ জুলাই সকাল থেকেই রাস্তায় থাকবেন কলকাতা পুলিশের পদস্থ কর্তারা। নিরাপত্তার তদারকি ও সুষ্ঠুভাবে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে মঞ্চ চত্বর সহ রাস্তায় থাকবেন ৩০ জন ডিসি পদমর্যাদার পুলিশকর্তা। তাঁদের সঙ্গে থাকবেন ৭০ জন অ্যাসিসট্যান্ট কমিশনার, ১৫০ জন ইন্সপেক্টর পদের পুলিশ আধিকারিক।
এ ছাড়াও রাস্তায় থাকছেন ৭৫০ জন পুলিশ অফিসার। শুধু ধর্মতলা চত্বর ও তার আশপাশের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছে সাড়ে তিনহাজার পুলিশ। এ ছাড়াও রাস্তায় থাকছে অতিরিক্ত ট্রাফিক পুলিশও। নজরদারির জন্য শহিদ দিবসের মঞ্চ ঘিরে বসানো হচ্ছে অতিরিক্ত সংখ্যক সিসিটিভি। হাওড়া, শিয়ালদহ, হাজরা মোড়, গিরিশ পার্ক, পার্ক সার্কাস সেভেন পয়েন্ট, শ্যামবাজার, গিরিশ পার্ক থেকে বেশ কয়েকটি মিছিল ধর্মতলায় মঞ্চের দিকে আসবে। মিছিল চলাকালীন যাতে কোনও অশান্তি না হয়, সেদিকে থাকবে পুলিশের নজর। দিনের বেলায় শহরে টহল দেবে বারোটি হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড ও পর্যাপ্ত সংখ্যক পিসিআর ভ্যান। জলপথেও গঙ্গা পেরিয়ে আসবেন বহু মানুষ। তাঁদের সুরক্ষার জন্য ডিএমজির নৌকা ও ডুবুরিদের টিম থাকবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।