নতুন জামার গন্ধ। পুজোসংখ্যার পাতায় নয়া অভিযান। শরতের নীল-সাদা মেঘের ভেলায় পুজোর ছুটির চিঠি। ছোটবেলার পুজোর গায়ে এরকমই মিঠে স্মৃতির পরত। নস্ট্যালজিয়ার ঝাঁপি খুললেন যিশু সেনগুপ্ত
ছোটবেলার পুজো বললেই মামাবাড়ির কথা মনে পড়ে। মা আমাকে আর দিদিকে নিয়ে চিত্তরঞ্জনে যেতেন। ওখানে দুটো পুজো হত। চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ ওয়ার্কসে আমার মামা চাকরি করতেন। তো পুজো মানেই ওখানে চলে যাওয়া। আমাদের পুজোটাকে নর্থের পুজো বলত। প্রচুর মজা করতাম। ভাইবোনরা সকলে এলে যা হয়। দেদার হই হুল্লোড়। নতুন জামা, মামাবাড়ির আদর সব মিলিয়ে পুজো জমজমাট। আর একটা দারুণ ব্যাপার ছিল। সেটা হল ধুনুচি নাচ। বড়দের জন্য আলাদা। ছোটদের জন্য আলাদা করে প্রতিযোগিতা হত। ওই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতাম। তো সেখানে ফার্স্ট বা সেকেন্ড তো হতামই। থার্ড হয়েছি বলে মনে পড়ে না। ওই প্রাইজের লোভেই যেন ছোটবেলায় পুজোয় চিত্তরঞ্জনে যেতাম।
[ আমার দুগ্গা: বিসর্জনে যাওয়া নিয়ে বাড়িতে খুব অশান্তি হত ]
তারপর আমার মা একটা পুজোর দায়িত্ব নিলেন। দেশপ্রিয়র কাছে আমরা থাকতাম। ওই পুজোর দায়িত্ব নেওয়ার পর মায়ের চিত্তরঞ্জন যাওয়া বন্ধ হয়ে গেল। আমাদেরও। তবে ওই পুজোর সঙ্গে তখনও জড়িয়ে ছিলাম, এখনও আছি। লেক সর্বজনীন দুর্গোৎসব আমাদের পুজোর নাম। এখন মা নেই। কিন্তু পুজোর সঙ্গে মা জড়িয়ে আছেন বলেই আমি এখনও বিশ্বাস করি। এখন আমি অন্য জায়গায় থাকি। কিন্তু পুজোর পাঁচদিন ওখানে চলে যাই। মেট্রোপলিস নামে একটা গেস্ট হাউস আছে। পুরো একটা ফ্লোর ভাড়া নিয়ে আমরা থাকি। এখন আর পুজোর চাঁদা তোলা হয় না। তবে বিজ্ঞাপন তোলা থেকে শুরু করে নানা কাজে মেতে থাকি। ভাসানে সেই বাবুঘাট পর্যন্তই যাই। নাচি, আনন্দ করি। এটাই আমার এখনকার পুজো।
দেখুন ভিডিও:
The post আমার দুগ্গা: ছোটবেলা থেকেই জমিয়ে ধুনুচি নাচে অংশ নিতাম appeared first on Sangbad Pratidin.