সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্নান মানুষে কেন করে?
প্রশ্নকর্তার উদ্দেশে চারটে খারাপ কথা মনে মনে ভেবে আপনি বলতেই পারেন, এ আবার একটা প্রশ্ন হল? সাফসুতরো থাকার জন্যই তো স্নান করা! দিনে একবেলা বা দুবেলা! তার চেয়ে বাড়লে অবশ্য ব্যাপারটা শুচিবায়ুগ্রস্তর খাতে যায়!
যাই হোক, কথা তো হচ্ছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়ে! তার জন্যই স্নানের মধ্যে গা ঘষা নামেও একটা ব্যাপার যোগ হয়েছে। যতটা সম্ভব হয় ধুলো, ময়লা ঘষে ঘষে তুলে ফেলা! তার জন্য আবার ধুঁধুলের ছোবড়া, আলাদা একটা গামছা- কত কী বন্দোবস্ত! যার আধুনিক ভার্সন বলা যেতে পারে নাইলনের লুফা!
কিন্তু, এই সাধের লুফাই ডেকে আনতে পারে চর্মরোগ। সম্প্রতি বিখ্যাত সান পত্রিকার একটি প্রবন্ধে সেরকমটাই জানানো হয়েছে। চর্মরোগবিশেষজ্ঞরা তাই লুফার দিকে হাত বাড়ানোর বদলে শতহস্ত দূরে থাকার কথাই বলছেন!
তা, লুফায় কী বিপদ? ওটা তো সাবানে ডোবানোর পর মরা কোষ, ধুলো-ময়লা তুলে দিয়ে ত্বকের উপকার করে বলেই এতদিন জানা ছিল!
কিন্তু, চিকিৎসকরা নিদান দিচ্ছেন, লুফা মোটেই উপকার কিছু করে না! করলেও তা সীমিত থাকে কেবল প্রথমবার ব্যবহারে! দ্বিতীয়বার থেকে প্রতিনিয়ত ব্যবহারেই শুরু হয় বিপদ!
আসলে, লুফার জালে নাকি বাসা বাঁধে ব্যাকটেরিয়া! যে সব মরা কোষ আর ধুলো-ময়লা শরীর থেকে তুলে নিচ্ছে লুফা, তা আটকে থাকে লুফাতেই! তার থেকেই হয় ব্যাকটেরিয়ার বাড়বাড়ন্ত! ফলে, দ্বিতীয়বার থেকে যে-ই আপনি লুফা ব্যবহার করছেন, বিষয়টা আর নিরাপদ থাকছে না! চর্মরোগের একটা আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে!
তাহলে? লুফা কি একদমই ব্যবহারের অযোগ্য? এই জায়গায় এসে যে সুরাহার পথটা বাতলে দিচ্ছেন চর্মরোগবিশেষজ্ঞরা, তাতে লুফাপ্রেমীদের মুখে হাসি ফুটতেও পারে! লুফা ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু সেক্ষেত্রে, স্নানের পরে আর জল ঝরিয়ে সেটাকে বাথরুমে রেখে দেওয়া যাবে না। মেলে দিতে হবে এমন কোনও জায়গায় যেখানে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস খেলে! তাতেই ব্যাকটেরিয়া নিকেশ আর ত্বকের সুরক্ষা- দুটো কাজই সমাধা হবে!
The post সত্যিটা জানার পরেও আর লুফা দিয়ে স্নান করবেন কি? appeared first on Sangbad Pratidin.