সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংক্রমণ ঠেকাতে দ্রুত টিকাকরণ প্রক্রিয়া সারতে বদ্ধপরিকর ভারত। আর সেই পথে আরও একধাপ এগোতে চলেছে দেশ। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরই ভারতের বাজারে আসতে পারে মার্কিন সংস্থা মডার্নার সিঙ্গল ডোজ করোনা ভ্যাকসিন (Corona Vaccine)। তার আগেই অবশ্য এবছরই ফাইজারের টিকা প্রয়োগ শুরু হতে পারে এদেশে। আমেরিকার এই ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থা জানিয়েছে, চলতি বছর ভারতকে পাঁচ কোটি টিকা দিতে প্রস্তুত তারা।
বর্তমানে মূলত দুটি ভ্যাকসিনই দেওয়া হচ্ছে দেশবাসীকে। অক্সফোর্ডের কোভিশিল্ড এবং ভারতের নিজস্ব টিকা কোভ্যাক্সিন। জানুয়ারি টিকাকরণ অভিযান শুরুর পর এখনও পর্যন্ত ১৮ ঊর্ধ্ব ২০ লক্ষ মানুষ টিকা পেয়েছেন। তবে ইতিমধ্যেই ভারতের বাজারে ঠাঁই পেয়েছে রাশিয়ার তৈরি টিকা স্পুটনিক ভি’ও (Sputnik V)। সংক্রমণ ঠেকাতে টিকাকরণের গতি বাড়াতে চায় সরকার। যার জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত ডোজও। তবে বিভিন্ন সংস্থার টিকা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হলে গতি আরও বাড়বে বলেই আশা করা হচ্ছে। দেশে ট্রায়াল চলছে জনসন অ্যান্ড জনসন কোম্পানির টিকারও।
[আরও পড়ুন: ‘যশ’-এর বৃষ্টিতে ভিজবেন না, বাড়তে পারে করোনার সম্ভাবনা! সতর্কবার্তা চিকিৎসকদের]
চলতি বছরই ধাপে ধাপে মিলবে ফাইজারের (Pfizer) ৫ কোটি ডোজ। জুলাই ও আগস্টে এক কোটি করে, সেপ্টেম্বরে ২ কোটি এবং অক্টোবরে এক কোটি ডোজ পাবে ভারত। তবে টিকা শুধুমাত্র কেন্দ্র সরকারকেই দেবে বলে জানিয়েছে সংস্থা। এরপর সরকার নিজের মতো করে তা বন্টনের সিদ্ধান্ত নেবে। যদিও সেই টিকার ভারতীয় বাজারে দাম এখনও পর্যন্ত ধার্য হয়নি।
এদিকে, টিকা প্রস্তুতির জন্য সিপলা-সহ বিভিন্ন ভারতীয় সংস্থার সঙ্গে কথাবার্তা বলছে মডার্না।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে রীতিমতো বিধ্বস্ত দেশ। এমন পরিস্থিতিতে টিকা সংগ্রহ করাই মূল লক্ষ্য ভারতের। যে কারণে গত সপ্তাহে দুটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকেও বসে বিশেষ মন্ত্রক। ছিলেন নীতি আয়োগ, বায়োটেকনোলজি বিভাগ, আইন মন্ত্রক ও স্বাস্থ্যমন্ত্রকের আধিকারিকরাও। সেখানেই আলোচনায় উঠে আসে মডার্নার কথা। ২০২২-এর আগে ভারতে সিঙ্গল ডোজ ভ্যাকসিন পৌঁছে দিতে পারবে না মডার্না।