সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোভিড, বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধির মতো হাজারো কঠিন সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে দেশ। তথাপি ধর্ম ও জাতপাত নিয়ে লড়াই বড় হয়ে উঠছে সমসাময়িক ভারতে। ফের তেমনই এক ঘটনার সাক্ষী হল উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) রায়বেরেলি। সেখানে এক দলিত নাবালকের উপর অকথ্য নির্যাতন চালাল উচ্চবর্ণের কয়েকজন যুবক। মারধরের পাশাপাশি এক অভিযুক্তের পা চাটতে বাধ্য করা হয় ওই কিশোরকে। এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতেই ছিছিক্কার পড়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্ত ৭ জনকে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দলিত কিশোর দশম শ্রেণির ছাত্র। ২ মিনিট ৩০ সেকেন্ডের যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, সেখানে দেখা গিয়েছে, বেশ কয়েকজন যুবক নাবালককে ঘিরে দাঁড়িয়ে। মাটিতে কান ধরে বসে ভয় কাঁপছে নির্যাতিত নাবালক। সে ভয় পাচ্ছে দেখে ওই যুবকেরা হাসছে। তাদের মধ্যে একজন দলিত নাবালককে বলছে, বানান কর তো ‘ঠাকুর’। উল্লেখ্য, ঠাকুর সম্প্রদায় উত্তরপ্রদেশে উচ্চবর্ণের মধ্যে পড়ে।
[আরও পড়ুন: বড়সড় আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ, অ্যামওয়ের ৭৫৭ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ED]
মারধরের সময় অভিযুক্তদের বলতে শোনা যায়, আর এই কাজ করবি? এরপর মোটরসাইকেলে বসে থাকা এক অভিযুক্তের পা চাটতে বলা হয় দলিত নাবালককে, শারীরিক নির্যাতন থেকে বাঁচতে সে তাই করে। কিন্তু কী অন্যায় করেছিল সে, যে তার উপর এমন অত্যাচার চালানো হল!
স্থানীয়দের বক্তব্য, ওই দলিত নাবালকের উপর যারা অত্যাতার চালায়, তাদেরই একজনের পারিবারিক জমিতে মুজরের কাজ করে ওই কিশোরের মা। এদিন মা’র তরফে পারিশ্রমিক চাইতে এসেছিল সে। সেই ‘অপরাধে’ই তার উপর অত্যাচার চালানো হয়। যদিও ভিডিও ভাইরাল হওয়ার কারণে নিন্দা শুরু হয় সর্বস্তরে। এরপরই ব্যবস্থা নেয় পুলিশ।
[আরও পড়ুন: ৩ দিনে সোনিয়ার সঙ্গে দু’বার বৈঠক, কংগ্রেসকে কী পরামর্শ দিচ্ছেন প্রশান্ত কিশোর?]
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটানাটি ঘটে ১০ এপ্রিলে। নির্যাতিত বালক লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পরে ৭ জন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের অধিকাংশই জাতে উচ্চবর্ণ। এক পুলিশ অধিকারিক বলেন, “নির্যাতিত ছাত্র থানায় অভিযোগ জানিয়েছিল। এর পরেই যারা তাকে লাঞ্ছিত করে তাদের বিরুদ্ধে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে।”