সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সম্প্রতি চিকিৎসকদের মারধরের অভিযোগে প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন দেশের সব প্রান্তের ডাক্তাররা। সেই আন্দোলনের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার সামনে এল ডাক্তারের অন্য এক কীর্তি। যা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
ঘটনা উত্তরপ্রদেশের এটাওয়ায়। অপারেশন থিয়েটারে আলো নেই। এমন পরিস্থিতিতে একান্ত সম্বল মোবাইলের টর্চ। সেই আলোতেই দু’জন রোগীর ক্ষতে সেলাই করলেন এক ডাক্তার। গোটা ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ক্ষুব্ধ রোগীর আত্মীয়রা।
[আরও পড়ুন: ‘জয় বাংলা’ নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রাদেশিকতার অভিযোগ,তথাগতর মন্তব্যে বিতর্ক]
সূত্রের খবর, ভীমরাও আম্বেদকর হাসপাতালে সেই সময় লোডশেডিং ছিল। অভিযোগ, অদ্ভুতভাবে জ্বালানির অভাবে নাকি নিষ্ক্রিয়ই থাকে হাসপাতালের তিনটি জেনারেটর। ফলে ডাক্তারদের ভরসা মোবাইলের ফ্ল্যাশ লাইটই। বুধবার গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে মাথায় আঘাত পান হিরণপুর গ্রামের বাসিন্দা রাহুল ও সুনীল। তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় ভীমরাও আম্বেদকর হাসপাতালে। লোডশেডিংয়ের মধ্যেই মোবাইলের টর্চ জ্বালিয়ে দুই রোগীর মাথায় সেলাই করেন ডাক্তাররা। কিন্তু এভাবে চিকিৎসা করতে গেলে কোনও বড়সড় একটা বিপদ ঘটতেই পারত। আর সেই কারণেই পরিষেবা নিয়ে ক্ষুব্ধ রোগীর পরিবার।
ডক্টর জয়দেশ যাদব বলেন, “তখন কিছুক্ষণের জন্য বিদ্যুত্ চলে যায়। জেনারেটরও কাজ করছিল না। কিন্তু সময় নষ্ট করতে চাইনি। মোবাইলে টর্চের আলো জ্বেলেই ক্ষতে সেলাই করে ব্যান্ডেজ করে দিই।” এদিকে, হাসপাতালের জেনারেটর সাধারণত কাজ না করার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে প্রধান মেডিক্যাল সুপার ডক্টর এসএস ভাদুরিয়া জানান, এমন ঘটনা প্রতিদিন ঘটে না। তবে যোগীর রাজ্যে এমন ঘটনা নতুন নয়। এর আগে নবাবগঞ্জে টর্চের আলোয় অস্ত্রোপচার করায় চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। একই ঘটনা ঘটেছিল বিহার এবং অন্ধ্রপ্রদেশেও। বারবার এমনটা হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই বিরক্ত রোগীর পরিজনেরা। প্রশ্ন উঠছে হাসপাতালের পরিকাঠামো নিয়েও৷
[আরও পড়ুন: মুসলমান যুবকদের মারধর করে বলানো হল ‘জয় শ্রীরাম’, চাঞ্চল্য অসমে]
The post টর্চের আলোতেই ক্ষতে সেলাই, হাসপাতালের পরিষেবায় ক্ষুব্ধ রোগীর পরিবার appeared first on Sangbad Pratidin.