সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জনবিস্ফোরণের মুখে দেশের সর্ববৃহৎ রাজ্য উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh)। দ্রুত জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে সরকারকে। এমনই মনে করছে সেরাজ্যের আইন কমিশন। তারা মনে করছে, এভাবে জনসংখ্যা বাড়তে থাকলে প্রত্যেক নাগরিকের কাছে ন্যূনতম পরিষেবা পৌঁছে দেওয়াটাও কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়াবে।
উত্তরপ্রদেশ আইন কমিশনের চেয়ারম্যান আদিত্য নাথ মিত্তল (Aditya Nath Mittal) বলছেন, “রাজ্যের জনসংখ্যা একেবারে জনবিস্ফোরণের পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়ার কাছাকাছি চলে এসেছে। যার ফলে হাসপাতালের বেড, খাদ্যশস্য, রোজগার, মাথা গোঁজার জায়গা, সবকিছুতেই টান পড়বে। আমাদের মনে হয়, এখনই জনসংখ্যা বৃদ্ধির গতিতে রাশ টানা উচিত।” যদিও,উত্তরপ্রদেশের আইন কমিশনের (UP Law Commission) চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, কোনও নির্দিষ্ট ধর্ম বা সম্প্রদায়কে তাঁরা টার্গেট করতে চান না। তবে, যারা জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে সরকারকে সাহায্য করছে তাঁদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেটাই নিশ্চিত করতে চাইছেন তিনি। যদিও, এ বিষয়ে সরকারিভাবে উত্তরপ্রদেশ সরকার কোনও মন্তব্য করেনি।
[আরও পড়ুন: ৮ বছরেই জনসংখ্যার নিরিখে চিনকে ছাপিয়ে যাবে ভারত, রিপোর্ট রাষ্ট্রসংঘের]
বস্তুত, উত্তরপ্রদেশ-সহ উত্তর ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে জনসংখ্যা সত্যিই বড় সমস্যা। আর এর জন্য নির্দিষ্ট কোনও ধর্ম দায়ী নয়। এই রাজ্যগুলিতে সব ধর্মের মানুষের মধ্যেই সচেতনতার অভাব রয়েছে। তাই রাজনীতি বা ধর্মের ঊর্ধ্বে উঠে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন। যদিও, উত্তরপ্রদেশের আইন কমিশনের চেয়ারম্যানের এই হঠাত জনসংখ্যা নিয়ে উদ্বেগের নেপথ্যে রাজনীতি থাকতেও পারে। কারণ, সামনেই উত্তরপ্রদেশে ভোট। সুপ্রিম কোর্ট রাম মন্দির তৈরির অনুমতি দিয়ে দেওয়ার পর এই মুহূর্তে বিজেপির কাছে হাতেগরম কোনও ইস্যু নেই। তাই আগামী বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Election) আগে জনসংখ্যা বিলের ধুয়ো তুলে বিধানসভার গণ্ডি উতরে যাওয়ার চেষ্টা করতে পারে বিজেপি। তাছাড়া, রাম মন্দির, ৩৭০ ধারার মতো জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিলও সংঘ পরিবারের বহু পুরনো এজেন্ডা। যদিও, যোগী সরকারের তরফে এই ধরনের কোনও ইঙ্গিত মেলেনি। তবে, বিজেপি শাসিত আরেক রাজ্য অসম, শনিবারই রাজ্যজুড়ে দুই সন্তান নীতি চালু করেছে।