সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেই কবে শোনা গিয়েছিল, ‘কত কিই যে সয়ে যেতে হয়, ভালবাসা হলে।’ গানের লাইনগুলো যেন অক্ষরে অক্ষরে খেটে যায় উত্তরপ্রদেশের দুই তরুণীর জীবনের সঙ্গে। তাঁদের ভালবাসার সম্পর্ক মেনে নেয়নি পরিবার। আপত্তি তুলেছিল সমাজও। কিন্তু তাঁরা প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, একে অপরকে ছেড়ে যাবেন না। তাই বাধ্য হয়ে লিঙ্গ পরিবর্তন করলেন এক তরুণী। তার ফলে ভালবাসায় আর কোনও বাধা রইল না।
জানা গিয়েছে,উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) প্রয়াগরাজের ওই তরুণী সমকামী। তাঁর প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে বদ্ধপরিকর ছিলেন। কিন্তু বাধা দেয় পরিবার। সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, সমকামী সম্পর্ক রাখা যাবে না। অনেক বুঝিয়েও লাভ হয়নি। নিজেদের অবস্থান থেকে সরতে নারাজ ছিল পরিবার। কিন্তু দুই তরুণী তো একে অপরকে ছেড়ে থাকার কথা ভাবতেও পারেন না। তাই বাধ্য হয়ে সিদ্ধান্ত নিলেন, নিজের লিঙ্গ পালটে ফেলবেন। তাহলে আর সমকামী সম্পর্ক থাকল না। সমাজের চোখে ‘স্বীকৃত’ নারী পুরুষের যুগল হিসাবেই বাঁচতে পারবেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: শেষ মুহূর্তে সমর্থন দিল TRS, অভিষেক-রাহুলদের সঙ্গে নিয়ে মনোনয়ন দিলেন যশবন্ত সিনহা]
যেমন ভাবা তেমন কাজ। হাসপাতালে গিয়ে নারী থেকে পুরুষ (Uttar Pradesh Sex Change) হয়ে ওঠার চিকিৎসা শুরু করেন ওই তরুণী। এই কাজে তাঁর পাশে দাঁড়ায় প্রয়াগরাজের স্বরূপ রানি নেহরু হাসপাতাল। নানা রকম অপারেশন করে ওই তরুণীর শরীরের উপরের অংশ পালটে ফেলা হয়। তবে এখনও শেষ হয়নি সম্পূর্ণ চিকিৎসা প্রক্রিয়া। আরও দেড় বছর বাকি আছে পুরোপুরিভাবে পুরুষ হয়ে উঠতে।
গোটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার দায়িত্বে রয়েছেন মোহিত জৈন নামে এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন, “এখন তাঁর শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোন উৎপাদনের ব্যবস্থা করা হবে। তার ফলে দেহে পুরুষালি পরিবর্তন আসবে।” তবে এই ধরনের চিকিৎসায় প্রচুর ঝুঁকি রয়েছে। কিন্তু পরোয়া করেননি ওই তরুণী। আপাতত তাঁর শরীরে কোনও রকম অসুবিধা নেই বলেই জানিয়েছেন মোহিত।