সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দরগায় গিয়ে প্রার্থনা করার অনুমতি চেয়েছিলেন এক হিন্দু মহিলা। কিন্তু তার ফলে দক্ষিণপন্থী সংগঠনগুলির হুমকির মুখে পড়েন তিনি। তারপরেই উত্তরাখণ্ড হাই কোর্টে (Uttarakhand High Court) মামলা দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানিতে দুই বিচারপতি বলেন, দরগায় প্রার্থনার অনুমতি দিতে হবে ওই মহিলাকে। তাছাড়াও তিনি যখন দরগায় যাবেন, সেই সময়ে পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে।
২২ বছর বয়সি ওই হিন্দু মহিলা আদতে মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা। তাঁর অফিসের এক মুসলিম যুবকের সঙ্গে হরিদ্বারের পিরান কালিয়ার দরগায় (Piran Kaliyar Dargah) গিয়েছিলেন। বিখ্যাত দরগাটি খুব পছন্দ হয়ে যাওয়ায় সেখানেই নমাজ পড়তে চান তিনি। কিন্তু হিন্দু হয়ে কেন দরগায় নমাজ পড়বেন, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তারপরেই আদালতের দ্বারস্থ হয়ে অভিযোগ করেন, দরগায় যাওয়ার কারণে হুমকি দিচ্ছে দক্ষিণপন্থীরা। নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: প্রাথমিকে ৩৬ হাজার চাকরি বাতিল! কেন চাকরি গেল? চাকরিহারাদের ভবিষ্যৎ কী?]
আদালতে ওই মহিলাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, হঠাৎ দরগায় গিয়ে প্রার্থনা করতে চাইলেন কেন? মহিলার উত্তর, “ওই দরগাটা খুবই শান্তিপূর্ণ। ভাল লাগে বলেই ওখানে গিয়ে প্রার্থনা করতে ইচ্ছা করে।” তবে সাফ জানিয়ে দেন, মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করবেন না তিনি। কোনও মুসলিম ব্যক্তিকে বিয়েও করেননি। যদিও মুসলিম বন্ধুর সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে রয়েছেন তিনি।
শুনানির পরে উত্তরাখণ্ড হাই কোর্টের দুই বিচারপতি জানান, দরগায় গিয়ে প্রার্থনা করতে বাধা দেওয়া যাবে না ওই মহিলাকে। দরগায় যাওয়ার কারণে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। সেই কথা মাথায় রেখে আদালতের নির্দেশ, দরগায় যাওয়ার সময়ে স্থানীয় থানাকে বিষয়টি জানাতে হবে। পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে ওই তরুণীর জন্য। আগামী ২২মে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে উত্তরাখণ্ড আদালতে।