সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বুধবারই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন মহারাষ্ট্র (Maharashtra) সরকারের করোনা টিকার (COVID vaccine) জোগান কম থাকার দাবিকে নস্যাৎ করে দিয়েছিলেন। তাঁর দাবি, টিকার জোগানে কোনও সমস্যা নেই। টিকাকরণে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতেই এমন দাবি করেছে মহারাষ্ট্র। এবার একই ছবি দেখা গেল উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) গাজিয়াবাদেও (Ghaziabad)। সেখানকার বহু বেসরকারি হাসপাতাল জানিয়ে দিয়েছে, গত সোমবার থেকে তাদের কাছে টিকার কোনও জোগান নেই।
বুধবার মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপে জানান, রাজ্যে আর মাত্র ১৪ লক্ষ করোনা টিকার ডোজ পড়ে আছে। কেবল মহারাষ্ট্র নয়, দিল্লি, পাঞ্জাব-সহ একাধিক রাজ্যই জানিয়েছে টিকার জোগানে ঘাটতি থাকার বিষয়ে। সমস্ত অভিযোগই উড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। এবার উত্তরপ্রদেশের বহু বেসরকারি হাসপাতালেও একই দাবি করল। গাজিয়াবাদের এক হাসপাতালের প্রধান এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ”আমাদের কাছে সোমবার থেকে টিকার কোনও স্টক নেই। সোমবার মাত্র ৫০ জনকে টিকা দিতে পেরেছি আমরা। অন্যান্য দিন অন্তত ২০০ জনের টিকাকরণ হয়। এরপর থেকে টিকাকরণ সম্পূ্ণ বন্ধ রয়েছে। কবে আবার টিকার জোগান আসবে সে বিষয়ে আমরা সম্পূর্ণ অন্ধকারে রয়েছি।”
[আরও পড়ুন: ‘প্রযুক্তিতে ভারতের চেয়ে এগিয়ে চিন’, সেনায় সাইবার হামলার আশঙ্কা বিপিন রাওয়াতের]
করোনা কালের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে ভারত। প্রতিদিন নতুন নতুন রেকর্ড গড়ছে দেশের দৈনিক করোনা (Coronavirus) আক্রান্তের সংখ্যা। বৃহস্পতিবার দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যাটা পেরিয়ে গিয়েছে সওয়া এক লক্ষ। যা কিনা গত বছর যে সময় দেশের করোনা সংক্রমণের পরিমাণ একেবারে চরমে ছিল তার থেকেও অনেকটা বেশি। এই নিয়ে গত চারদিনের মধ্যে তিনদিন দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা লক্ষাধিক। এই পরিসংখ্যান ভয় ধরানোর জন্য যথেষ্ট। এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত টিকাকরণ সম্পন্ন করার ব্যাপারে জোর দিয়েছে কেন্দ্র। বৃহস্পতিবারই করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পরে টুইটারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লেখেন, “করোনাকে হারানোর অন্যতম উপায় এই টিকা।” যাঁরা টিকা নেওয়ার যোগ্য, তাঁদের দ্রুত ভ্যাকসিন নেওয়ার আবেদন জানান তিনি।
ক্রমবর্ধমান করোনা সংক্রমণে রাশ টানতে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি রাজ্যে নাইট কারফিউ এবং আংশিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সেই তালিকায় নয়া সংযোজন মধ্যপ্রদেশ। রাজ্যের ছিনদ্বারা জেলায় আগামী সাত দিন সম্পূর্ণ লকডাউন ডাকা হয়েছে। এছাড়া শহরাঞ্চলে নাইট কারফিউ তো আছেই। পাশাপাশি আগামী তিন মাস সপ্তাহে পাঁচ দিন সরকারি অফিস খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।