সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁরা প্রাক্তন। মসনদ থেকে বহু দূরে। আপাতত ঠিকানা সরকারি আবাস। কিন্তু সেখানে প্রণব মুখোপাধ্যায়, মনমোহন সিং কিংবা অটলবিহারী বাজপেয়ী আর কতদিন থাকতে পারবেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। প্রাক্তন সলিসিটর জেনারেল গোপাল সুব্রহ্মণ্যমের পরামর্শ সুপ্রিম কোর্ট মেনে নিলে সমস্যায় পড়তে পারেন প্রাক্তনরা। তাঁদের বাসভবন ছাড়তে হবে। উদ্বেগের তালিকায় রয়েছেন প্রতিভা পাটিল, দেবেগৌড়ারাও।
[রিয়েল থেকে রিলে পদ্মশ্রী করিমুল, এবার সিনেমায় ‘অ্যাম্বুল্যান্স দাদা’]
দিল্লি সরকারের জমিতে থাকেন দেশের এই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতিরা। প্রাক্তন হয়ে যাওয়ার পর এভাবে সরকারের জমিতে থাকা আসলে দখল করার শামিল। এমনই যুক্তি দেখিয়ে কয়েক মাস আগে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিল একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। তারা উত্তরপ্রদেশ সরকারের আইনকে চ্যালেঞ্জ জানাতে এই পথে হেঁটেছিল। উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের আইনে সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের প্রাক্তন হওয়ার পর তাঁদের থাকার জন্য সরকারি বাসভবনের ব্যবস্থা করেছিল। সাধারণ মানুষের করের টাকায় এমন ব্যবস্থা করা যায় না বলে জানিয়েছিল ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। বিষয়টি শেষ পর্যন্ত গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। গত বছরের ২৩ আগস্ট মামলাটি শীর্ষ আদালতের বিচারপতি রঞ্জন গগৈ এবং নবীন সিনহার ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে। বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য ডিভিশন বেঞ্চ দায়িত্ব দেয় প্রাক্তন সলিসিটর জেনারেল গোপাল সুব্রহ্ম্যণ্যমকে। বিচারপতিদ্বয় জানান, এই বিষয়ে সাধারণ মানুষের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
[শীতের ভেলকি, ১০.৬ ডিগ্রি নেমে মরশুমের শীতলতম দিন কলকাতায়]
এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে গোপাল সুব্রহ্মণ্যমের পর্যবেক্ষণ চিন্তায় ফেলতে পারে দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীদের। প্রাক্তন সলিসিটর জেনারেলের মতে উত্তরপ্রদেশ শুধু নয়, গোটা দেশের ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য হওয়া ভাল। তাঁর ব্যাখ্যা সাধারণ মানুষের করের টাকায় এসব সম্পত্তি রয়েছে। সেখানে কার্যত বিনা খরচে থাকার অর্থ কোষাগারের উপর চাপ। সাধারণকে নিজেদেরর অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখা। গোপাল সুব্রহ্মণ্যমের তাঁর এই অবস্থান শীর্ষ আদালতকে জানালে সরকারি আবাস ছাড়তে হতে পারে দেশের তথাকথিত ভিভিআইপিদের। কয়েক দিনের মধ্যে এই বিষয়টি আদালতে উঠবে। তবে সুপ্রিম কোর্ট তা মানবে কি না তা নিয়েও বাড়ছে কৌতুহল।
The post বাজপেয়ী-প্রণব মুখোপাধ্যায়কে কি ছাড়তে হবে সরকারি বাসভবন? appeared first on Sangbad Pratidin.