সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশজুড়ে অশান্তির আবহ। সেই অশান্তিকে ধর্মীয় রঙ দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ। এই আবহে কলকাতার সবচেয়ে পুরনো গির্জায় ধ্বনিত হল ‘বন্দেমাতরম’। ২৫ ডিসেম্বরের আগে এই গির্জায় সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই এই গানটি গাওয়া হয়। এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন বিশিষ্টজনেরাও।
শনিবার সন্ধ্যেয় সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। হাজির ছঠিলেন শহরের বহু মানুষ। সেই অনুষ্ঠানেই প্রার্থনা সংগীতের পাশাপাশি দেশাত্মবেোধক গানও পরিবেশিত হয়। খুদে পড়ুয়ারা দৃপ্ত কণ্ঠে বন্দেমাতরম গানটি গায়। পরে সেই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলে তা ভাইরাল হয়ে যায়। এই উ্দ্যোগ নেটিজেনদের প্রশংসা কুড়িয়েছে।
[আরও পড়ুন: যাদবপুরে বিক্ষোভের মুখে আচার্য জগদীপ ধনকড়, গাড়ি ঘিরে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান পড়ুয়াদের]
নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল সংসদে ওঠার পর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা দেশ। রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পরই সেই বিল আইনে পরিণত হয়েছে। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে প্রতিবাদের ঝাঁজও। পড়ুয়া থেকে বর্ষীয়ান নাগরিক, খেটে খাওয়া মজদুর থেকে রূপালি পর্দার তারকা-একসঙ্গে সকলে পথে নেমেছেন। বির্তকিত আইন প্রত্যাহারে দাবিতে গলা মিলিয়েছেন সকলেই। তবে সেই প্রতিবাদী স্বর রোধ করতে পুলিশ-প্রশাসনও আগ্রাসী হয়েছে বলে অভিযোগ। আন্দোলনে নেমে গোটা দেশে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ২৬জন। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে আক্রান্ত হয়েছে পড়ুয়ারাও। তাও প্রতিবাদ চলছে। বিক্ষুব্ধ জনতার অভিযোগ, ধর্মের উপর ভিত্তি করে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভেদাভেদের চেষ্টা চলছে। দেশের ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক চরিত্র বদলের চেষ্টা চলছে বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা। এমন পরিস্থিতিতে কলকাতার গির্জার এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে গোটা দেশ।
[আরও পড়ুন: CAA-NRC বিরোধী বিজ্ঞাপনের উপর জারি অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ, হাই কোর্টে ধাক্কা রাজ্যের]
বড়দিনের আগে শীতের মরশুমে কলকাতার এই গির্জাগুলি সেজে ওঠে আলোকমালায়। কলকাতার ক্যাথিড্রালগুলির মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল। জানা গিয়েছে, ১৮১৯ নাগাদ বিশপ মিডলটনের উদ্যোগে সেন্ট জনস গির্জার পাশাপাশি আরও একটি গির্জা তৈরির পরিকল্পনা করা হয়। ১৮৩৯ সালে সেই গির্জাটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। আট বছর পর ১৮৪৭ সালে তা সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
The post দেশজুড়ে অশান্তির মধ্যেই শান্তির ছবি, বন্দেমাতরমে মুখরিত সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল appeared first on Sangbad Pratidin.