সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জাতীয় স্তোত্র ‘বন্দে মাতরম’ আগে কোন ভাষায় লিখেছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়? সংস্কৃত না বাংলায়? একটি মামলার শুনানিতে এমনই প্রশ্ন তুলল মাদ্রাজ হাই কোর্ট। এমনকী, শেষ পর্যন্ত ধোঁয়াশা দূর করতে স্টেট অ্যাডভোকেট জেনারেলকে সঠিক উত্তর খুঁজে বের করার নির্দেশও দিলেন বিচারপতি এম ভি মুরলিধরণ।
[বিজেপি শাসিত হরিয়ানায় বেঘোরে মৃত ২৫টি গরু]
কিন্তু কেন হঠাৎ ‘বন্দে মাতরম’ নিয়ে এমন প্রশ্ন উঠল? জানা গিয়েছে, কে ভিরামনি নামে এক ব্যক্তি কয়েকদিন আগে টিচার্স রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের পরীক্ষায় বসেছিলেন। সরকারি স্কুলে সহকারী পদে নিয়োগের জন্য এই পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই প্রশ্ন এসেছিল জাতীয় স্তোত্র ‘বন্দে মাতরম’ প্রথম কোন ভাষায় লেখা হয়েছিল? উত্তরে ভিরামনি লেখেন বাংলা। কিন্তু বোর্ডের পরীক্ষকরা সেই উত্তর কেটে দেন। তাঁদের মতে, প্রথম সংস্কৃত ভাষায় লেখা হয়েছিল জাতীয় স্তোত্র। আর তাই এক নম্বর কাটা হয় ভিরামনির। উল্লেখযোগ্যভাবে এক নম্বরের জন্যই ওই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেননি তিনি। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য প্রয়োজন ছিল ৯০ নম্বরের, সেখানে ভিরামনি পান ৮৯। এরপরই বোর্ড পরীক্ষকদের ওই উত্তর মানতে অস্বীকার করেন তিনি। তাঁর দাবি, প্রত্যেকটি বইয়ে লেখা বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় প্রথমে বাংলাতেই ‘বন্দে মাতরম’ লিখেছিলেন। আর তাই আদালতে দায়ের করা মামলায় তিনি বলেন, তাঁর দেওয়া উত্তরটি বোর্ডের পরীক্ষকরা কেটে দেওয়ার কারণে তিনি পাশ করতে পারেননি। তাঁর উত্তরটি যেন সঠিক বলে বিবেচিত হয় এবং তাঁকে এক নম্বর দেওয়া হয়।
[গ্রামের নাম দুর্গন্ধ, হিজড়া! বাসিন্দারা কী করলেন জানেন?]
মামলার শুনানির সময় ওই ব্যক্তির আইনজীবী দাবি করেন, বঙ্কিমচন্দ্র বাংলা এবং সংস্কৃত দুই ভাষাতেই বন্দেমাতরম লিখেছিলেন। কিন্তু বোর্ডের তরফের আইনজীবীর মতে, বঙ্কিমচন্দ্র প্রথমে সংস্কৃত ভাষায় জাতীয় স্তোত্র লেখেন, পরে সেটি বাংলায় অনুবাদ করা হয়। এর পরই বোর্ডের প্রকাশিত ফলাফলের উপর স্থগিতাদেশ দিয়ে মাদ্রাজ হাই কোর্টের বিচারক সঠিক উত্তর খুঁজে বের করতে স্টেট অ্যাডভোকেট জেনারেলকে নির্দেশ দেন। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১১ জুলাই।
[মুম্বইয়ে অনুষ্ঠিত হল বিশ্বকাপের ড্র, শুরুতেই ভারত-আমেরিকা]
The post প্রথম কোন ভাষায় ‘বন্দে মাতরম’ লিখেছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র, প্রশ্ন হাই কোর্টের appeared first on Sangbad Pratidin.