সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোভিডের বুস্টার টিকা নেওয়ার বিষয়ে তীব্র অনীহা দেশবাসীর একাংশের মধ্যে। আগের মতোই এগিয়ে এলেন চণ্ডীগড়ের সঞ্জয় রানা। জানালেন, বুস্টার টিকা নিয়ে সে দিন তাঁর দোকানে গেলে বিনামূল্যে ‘ছোলে-বাটুরে’ খাওয়াবেন।
এর আগেও কোভিডের টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় টিকার প্রসারের জন্য একই পদক্ষেপ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন সঞ্জয়। ৪৫ বছরের সঞ্জয় চণ্ডীগড়ের রাস্তায় ছোলে-বাটুরে বিক্রি করেন। গত ১৫ বছর ধরে। বুস্টার টিকা নিয়ে সাধারণ নাগরিকদের গা-ছাড়া মনোভাবে উদ্বিগ্ন তিনি। বলেন, ‘‘ঠিক করেছি কোভিড টিকার বুস্টার টিকা নিয়ে কেউ সে দিনই আমার এখানে ছোলে-বাটুরে খেতে এলে দাম নেব না। তবে টিকাকরণের শংসাপত্র দেখাতে হবে।’’ যদিও বুদ্ধিটা প্রথম দিয়েছিলেন তাঁর মেয়ে ঋদ্ধিমা আর ভাগ্নি রিয়া। এর আগে কোভিডের প্রথম ও দ্বিতীয় টিকা নিয়ে মানুষের মধ্যে উৎসাহ বাড়াতেও একই পদক্ষেপ করেছিলেন।
[আরও পড়ুন:গুলিবিদ্ধ হয়েও মারণ কামড় জঙ্গিকে! প্রিয় সারমেয়র মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ সেনার]
গত বছর এক রবিবারের ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রশংসা করেছিলেন তাঁর। বলেছিলেন, ‘‘সঞ্জয়জির ছোলে-বাটুরে খেতে হলে আপনাদের কোভিড টিকার শংসাপত্র নিয়ে পৌঁছে যেতে হবে। দেখাতে হবে, যে ওই দিনই আপনি টিকা নিয়েছেন। শংসাপত্র দেখালেই তিনি আপনাকে সুস্বাদু ছোলে-বাটুরে দেবেন। সমাজের ভাল করার জন্য একটা কর্তব্যবোধ প্রয়োজন। আমাদের ভাই সঞ্জয়ের সেটা রয়েছে।’’ এদিকে, সঞ্জয় জানিয়েছেন, সমাজের জন্য কিছু করার ইচ্ছা তাঁর ছোট থেকেই। সেই কারণে ভেবেছিলেন, সেনাবাহিনীতে যোগ দেবেন। দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় বাবা মারা গিয়েছেন। সংসারের ভার এসে পড়ে তাঁর কাঁধে। বাধ্য হয়ে পড়াশোনা ছেড়ে কাজ নেন। সঞ্জয়ের কথায়, ‘‘ভাগ্যে আমার অন্য কিছু লেখা ছিল। তা বলে ইচ্ছা বিসর্জন দিইনি। এখন অন্যভাবে সমাজসেবা করছি, আর তাতে আমি তৃপ্ত।’’