সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কিংবদন্তি পরিচালক তরুণ মজুমদারের (Tarun Majumdar) স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে। শ্বাসকষ্টের সমস্যা শুরু হওয়ায় ফের ভেন্টিলেশনে দিতে হয়েছে তাঁকে। সূত্রের খবর, পরিচালকের ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা তিনের নিচে। অন্যান্য অঙ্গে চাপ পড়ছে বলে জানা গিয়েছে।
বেশ কিছুদিন ধরেই এসএসকেএম হাসপাতালে ভরতি তরুণ মজুমদার। ৯২ বছরের পরিচালকের চিকিৎসার দায়িত্বে রয়েছেন চেস্ট মেডিসিনের চিকিৎসক সোমনাথ কুণ্ডু, মেডিসিনের চিকিৎসক সৌমিত্র ঘোষ, নেফ্রলজিস্ট অর্পিতা রায়চৌধুরী, কার্ডিওলজিস্ট সরোজ মণ্ডল, নিউরো মেডিসিনের চিকিৎসক বিমান রায়ের মতো অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা।
[আরও পড়ুন: শেষবার মীরের গলায় ‘সানডে সাসপেন্স’! আবেগে ভাসলেন শ্রোতারা]
জানা গিয়েছে, বহু বছর ধরেই কিডনির সমস্যা রয়েছে বর্ষীয়ান পরিচালকের। তাঁর ডায়ালিসিস চলছে। সেকেন্ডারি ইনফেকশন রয়েছে বলেও খবর। এর আগেও একবার তরুণ মজুমদারের স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছিল। সেই সময় তাঁকে ভেন্টিলেশনে দিতে হয়েছিল। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই ভেন্টিলেশন থেকে পরিচালককে সরিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর রাইলস টিউবও খুলে দেওয়া হয়েছিল।
এর আগে ট্র্যাকিওস্টোমি পদ্ধতির মাধ্যমে তরুণ মজুমদারের ফুসফুসে অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। সাধারণত এই ধরনের পদ্ধতিতে ভোকাল কর্ড বা স্বরতন্ত্রীর নিচে ফুটো করা হয়। সেখান থেকে শ্বাসনালি পর্যন্ত ঢুকিয়ে দেওয়া হয় একটি টিউব। কিন্তু রবিবার ফের পরিচালকের স্বাস্থ্যের অবনতির খবর পাওয়া যায় এবং আবার তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে।
কেমিস্ট্রির ছাত্র হলেও সিনেমা তৈরির ঝোঁক ছিল তরুণ মজুমদারের। শচীন মুখোপাধ্যায় এবং দিলীপ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে মিলে ‘যাত্রিক’ নামে টিম তৈরি করে সিনেমা পরিচালনার কাজ শুরু করেন তিনি। পরে ‘যাত্রিক’ থেকে বেরিয়ে নিজে পরিচালনার কাজ শুরু করেন। মধ্যবিত্ত বাঙালির জীবন সিনেমার পর্দায় তুলে ধরেন ‘বালিকা বধূ’, ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’, ‘দাদার কীর্তি’, ‘আপন আমার আপন’, ‘চাঁদের বাড়ি’, ‘ভালবাসা ভালবাসা’, ‘আলো’র মতো সিনেমার মাধ্যমে। একাধিক জাতীয় পুরস্কার রয়েছে তরুণ মজুমদারে ঝুলিতে। পেয়েছেন পদ্মশ্রী সম্মান। কিংবদন্তি পরিচালকের আরোগ্য কামনায় প্রার্থনা করছেন তাঁর অনুরাগীরা।