সুদীপ রায় চৌধুরী: বছর ঘুরলেই উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব এবং গোয়ায় নির্বাচন। তার আগে নয়া কর্মসূচি নিচ্ছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP)। লাভ জেহাদ বা প্রলোভন দেখিয়ে অবৈধ ধর্মান্তকরণের বিরুদ্ধে সোমবার থেকে দেশজুড়ে ধর্মরক্ষা অভিযানের ডাক দিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। শনিবার একথা জানিয়েছেন পরিষদের সর্বভারতীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. সুরেন্দ্র কুমার। পাশাপাশি ধর্মান্তকরণ বন্ধ করতে নির্দিষ্ট আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে পরিষদ।যদিও রাজনৈতিক মহলের দাবি, হিন্দুত্বের জিগির তুলে হিন্দু ভোট বিজেপির (BJP ঝুলিতে টানতেই বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এই কর্মসূচি।
এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে ডা. সুরেন্দ্র কুমার জানান, চলতি মাসের ২০ তারিখ তাঁদের কর্মসূচি শুরু। চলবে বছরের শেষদিন অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ২০ তারিখ শঙ্খধ্বনির মাধ্যমে কর্সসূচির সূচনা। ২৩ তারিখ পালিত হবে ‘ধর্মরক্ষা দিবস’। স্বামী শ্রদ্ধানন্দের বলিদানকে সম্মান জানাতেই দিনটি ‘ধর্মরক্ষা দিবস’ হিসেবে পালিত হবে বলে জানিয়েছেন সুরিন্দর জৈন। এছাড়াও দেশব্যাপী র্যালি, হোর্ডিং-পোস্টার সাঁটানো ও লিফলেট বিলির মতো কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: দুপুর থেকে সংজ্ঞাহীন সুকান্ত মজুমদারের তিন বছরের মেয়ে, ভরতি হাসপাতালে]
কুমারের অভিযোগ, “করোনার ভয়াবহ বিপর্যয়ের সময়ে সাধারণ মানুষের অসহায়তা ও আর্থিক দুরবস্থার সুযোগ নিয়ে খ্রিস্টান মিশনারি ও মৌলবীরা আগ্রাসীভাবে ধর্মান্তকরণে নেমে পড়ে। মূলত বনবাসী ও তপসিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ এই অবৈধ ধর্মান্তকরণের শিকার হয়েছেন।” তাঁর কথায়, “তপসিলি জাতির ক্ষেত্রে সংবিধানে বর্ণিত সুযোগ সুবিধা ধর্মান্তরিত হলে বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু উপজাতিদের ক্ষেত্রে ধর্মান্তরের পরও যাবতীয় সুবিধা মেলে। এ কারণেই তঁাদেরকে লক্ষবস্তু হয়েছে মিশনারি ও মৌলবীদের।” এই আইন সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
ধর্মান্তকরণ (Anti Conversion Law) বন্ধ করতে নির্দিষ্ট আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। কারা ধর্মান্তরকরণ করছে, তাদের চিহ্নিত করার দাবি জানিয়েছে তারা। ধর্মান্তরিতদের ফের স্বধর্মে ফিরিয়ে আনতে দেশজুড়ে ঘর ওয়াপসি কর্মসূচিতে জোর দিচ্ছে পরিষদ।
বছর ঘুরলেই উত্তরপ্রদেশ, গোয়া, পাঞ্জাবের ভোট। তার আগে ভিএইচপি হিন্দু আবেগে ধোঁয়া দিতে চাইছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। গোয়ায় প্রায় ২৫ শতাংশ খ্রিস্টান ভোট। অতি অল্প মুসলিম ভোটও রয়েছে। সেই অংশের ভোট বাদ দিয়ে সে রাজ্যের হিন্দু ভোট বিজেপির দিকে আনতে চাইছে হিন্দুত্ববাদি সংগঠনগুলি। পাঞ্জাবে অকালি দলের সঙ্গে জোট ভেঙেছে বিজেপির। শিখ ভোট আসবে না ঝুলিতে তাই সেখানেও হিন্দুত্বের জিগির তুলে ভোট আনার চেষ্টা চলছে সে রাজ্যেও, মত রাজনৈতিক মহলের।