সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একজন পদ ছাড়ছেন। অন্যজন সেই পদেই অভিষিক্ত হচ্ছেন। পর্বান্তরের এই সময়েই জমে গেল তরজা। যেতে যেতে আনাসারি বলে গেলেন অসহিষ্ণুতার কথা। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তাহীনতার কথা। আর তা নিয়েই তোলপাড় দেশ। চুপ করে থাকলেন না উপরাষ্ট্রপতি হতে চলা বেঙ্কাইয়া নায়ডু। নাম না করেই আনসারিকে পালটা দিলেন তিনি। জানালেন, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ আসলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
[ দেশে মুসলিমরা আতঙ্কে রয়েছেন, উদ্বেগ আনসারির ]
দু-দফায় উপরাষ্ট্রপতি ছিলেন হামিদ আনসারি। কিন্তু কোনওদিনই সেরকম কোনও বিতর্কে জড়াতে দেখা যায়নি তাঁকে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ হলেও সকলের মধ্যেই জনপ্রিয় ছিলেন এই সুভদ্র মানুষটি। কিন্তু যাওয়ার বেলায় বিতর্ক পিছু ছাড়ল না। নিজের বক্তৃতায় প্রকাশ করে ফেললেন অসহিষ্ণুতার কথা। সংখ্যালঘুরা যে অসুরক্ষিত এমন কথাও শোনা গেল তাঁর মুখে। অলক্ষে কি কাউকে বিঁধলেন বিদায়ী উপরাষ্ট্রপতি? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, সহিষ্ণুতা ও সংখ্যালঘু প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রীকেই পরোক্ষে খোঁচা দিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী অবশ্য এ নিয়ে মুখ খোলেননি। তবে নাম না করেই বিদায়ী উপরাষ্ট্রপতিকে জবাব দিয়েছেন বেঙ্কাইয়া নায়ডু। দেশের উপরাষ্ট্রপতির দায়িত্ব যিনি সামলাবেন, তিনি সাফ জানালেন, “অনেকেই সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তাহীনতার কথা বলে থাকেন। কিন্তু এ আসলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কথা।” তিনি জানান, “যদি কোনও একটা সম্প্রদায়ের কথা বলা হয়, তবে অন্য সম্প্রদায় বঞ্চিত হয়। সে জন্যই সকলের কথা বলা উচিত।” তোষণ কোনওভাবেই বাঞ্ছনীয় নয় বলে মত তাঁর। তাঁর দাবি, “সংখ্যালঘুরা যে আজ শীর্ষ পদে পৌঁছচ্ছেন এবং সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করছেন সে তো ধর্মনিরপেক্ষতার কারণেই। এবং তাঁদের মেধার জোরে। এ দেশ নেতাদের খাতিরে ধর্মনিরপেক্ষ নয় বরং সাধারণ মানুষের জন্য। এটাই ঐতিহ্য।”
[ হাফিজ সইদকে ইসলামের শত্রু বললেন ভারতের সহস্রাধিক মুসলিম ধর্মগুরু ]
পালাবদলের পর্বে শেষবেলায় লড়াইটা জমে গেল এভাবেই।
The post ‘মুসলিমদের নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ আসলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ appeared first on Sangbad Pratidin.