সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দোষ না করেই দোষীর তকমা জুটেছিল কপালে। সমাজ-পরিবারের ঢি-ঢি পড়ে গিয়েছিল। কার্যত একঘরে হয়েও লড়াই ছাড়েননি চেন্নাইয়ের যুবক সন্তোষ। অবশেষে ১০ বছর পর মিলল সুবিচার।
২০১০ সালে ধর্ষণের (Rape) অভিযোগ আনা হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে। ৯৫ দিন জেলেও কাটিয়েছিলেন তৎকালীন কলেজ পড়ুয়া সন্তোষ। জামিন পেলেও অভিযোগের ‘দাগ’ থেকে গিয়েছিল। শেষ হয়ে গিয়েছিল উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন। অবশেষে তাঁকে ১৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিল চেন্নাইয়ের আদালত (Chennai Court)।
[আরও পড়ুন : ‘করাচিও একদিন আমাদের অংশ হবে’, অখণ্ড ভারতের জল্পনা উসকে দাবি দেবেন্দ্র ফড়ণবিসের]
পারিবারিক বন্ধুর মেয়ের সঙ্গে বিয়ে ছিক হয়েছিল সন্তোষের। কিন্তু সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জের দুই পরিবারের সম্পর্ক খারাপ হয়। ভেঙে যায় বিয়ে। সেই সময় বেসরকারি কলেজে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছিলেন সন্তোষ। মেয়েটির পরিবার জানায়, তাঁদের মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা। সেই সন্তানের বাবা সন্তোষ। সে কথা মানতে চায়নি অভিযু্ক্ত সন্তোষ ও তাঁর পরিবার। জানিয়ে দেয়, ওই পরিবারের মেয়ের সঙ্গে সন্তোষের কোনও সম্পর্ক ছিল না। এরপরই থানায় ধর্ষণের অভিযাগ দায়ের করে সংশ্লিষ্ট পরিবার।
পুলিশ ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া সন্তোষকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পেশ করে। সেই সময় ৯৫ দিন বিচারবিভাগীয় হেফাজতে ছিলেন তিনি। অবশেষে ২০১০ সালে ১২ ফেব্রুয়ারি জামিন মেলে। এরমধ্যে এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেয় মেয়েটি। ডিএনএ পরীক্ষা করে দেখা যায় সন্তানটি সন্তোষের নয়। এরপর ছ’বছর ধরে মামলা চলে। ২০১৬ সালে মহিলা আদালত সন্তোষকে বেকসুর খালাস করে। কিন্তু সম্মানহানির ক্ষতিপূরণ চেয়ে পালটা মামলা করেন সন্তোষ।
[আরও পড়ুন : ট্রেনে সোনা-রুপো-নগদ পাচারের ঘটনায় আতঙ্কে যাত্রীরা, তদন্ত শুরু রেলের]
তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যে ধর্ষণের মামলা ও ভবিষ্যৎ নষ্ট করার জন্য অভিযোগকারিণী এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা করেন সন্তোষ। ৩০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। শেষপর্যন্ত আদালত ১৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।